কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান:  প্রবল বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমানে ভেঙে পড়ল ১০০ বছরের পরিত্যক্ত বাড়ি। বর্ধমান শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আরপি দাস রোডের ঘটনা। বাড়ির অন্যতম মালিক জানিয়েছেন, গত ১ বছর ধরে এই বাড়িতে কেউ বাড়িতে থাকতেন না। তাঁর দাবি, বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য পুরসভার দারস্থ হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে যান।


বয়স প্রায় ১০০ বছর। দেওয়ালের আনাচে কানাচে গা বেয়ে গজিয়ে উঠেছিল অশ্বত্থ গাছ। ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৬টা। কখনও ইটের চাঁই।কখনও আবার পড়তে দেখা যায় সিমেন্ট-ইটের গুঁড়ো। তারপর বিকট শব্দে একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দোতলা বাড়ির সামনের অংশটা।


লাগাতার বৃষ্টি। জলে টইটুম্বর চতুর্দিক। এরইমধ্যে বর্ধমান শহরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আরপি দাস রোডে ভেঙে পড়ল পরিত্যক্ত বাড়ি। বছরখানেক আগেও এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন কয়েকজন। তবে দুর্ঘটনা সময় খালিই ছিল বাড়ি ও সংলগ্ন চত্বর। ফলে আহত হননি কেউ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিকাশ সাঁই বলেছেন,  ওই বাড়ির পাশেই দোকান আমার। সৌভাগ্যক্রমে কেউ আহত হয়নি।


বাড়ির এক অন্যতম মালিকের দাবি, বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য পুরসভার দারস্থ হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সুজিতচন্দ্র দাস নামে ওই ব্যক্তি বলেছেন, পুরসভাকে জানানো হয়েছিল, তারা বাড়ি ভাঙেনি, মামলা চলছিল।


এ বিষয়ে বর্ধমান পুরসভার উপ প্রশাসক জানিয়েছেন, আগে আইনগত কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গেছেন, বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।


বাড়িটি নিয়ে মামলা চলছিল। একপ্রকার জোর করেই ভাড়াটেদের তুলে দিয়েছিলেন মালিক। এখন তাঁরা বলছেন, ভাগ্যিস চলে যেতে বলেছিলেন।