কমলকৃষ্ণ দে, গলসি (পূর্ব বর্ধমান): গলসি ১নং ব্লকের বিভিন্ন এলাকার ধান জমিতে দাপিয়ে বেড়ালো প্রায় ৪০ টি হাতি। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছয় গলসি থানার পুলিশ ও হুলা পার্টি। এরপর হাতিগুলিকে সেখান থেকে সরিয়ে গলসির উচ্চগ্রাম হয়ে আউশগ্রাম এলাকায় নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। চল্লিশটি হাতির মধ্যে চার থেকে পাঁচটি বাচ্চা হাতিও ছিল।
গলসির পোতনা, পুরসা, উচ্চগ্রাম, কুতরুকি সহ বেশ কিছু এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় হাতির দলটি। আজ ভোরে শিল্লার কাছে দামোদর পেরিয়ে প্রথমে গলসিতে ঢোকে। এরপর সেখান থেকে পোতনা -পুরসার কাছে ২নং জাতীয় সড়ক ও পরে বর্ধমান-আসানসোল রেল লাইন পেরিয়ে যায় তারা। তারপর আউশগ্রাম এলাকায় ঢুকে পড়ে হাতির দলটি।
আরও পড়ুন: Paschim Medinipur: দাঁতনে রেশন নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা, প্রতিবেশীর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ
আজই পশ্চিম মেদিনীপুরেও (West Midnapore) হাতির (Elephant) তাণ্ডব দেখা যায়। আজ ভোর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির (Shalbani) পাথরি গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১৮-২০টি হাতির দল। চাষের জমিতে নেমে নষ্ট করছে ফসল। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২ সপ্তাহ ধরেই শালবনি ও মেদিনীপুর (Midnapore) সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতির দুটি দল। নষ্ট করছে পাকা ফসল। একটি দলকে জঙ্গলে (Forest) পাঠাতে পারলেও, অন্য দলে হস্তিশাবক থাকায় জোর করেননি বন কর্মীরা। সেই দলটিই এদিন তাণ্ডব চালায়। বন দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।
গত দু’সপ্তাহ ধরে শালবনি ও মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাতে পাকা ধানের জমি সংলগ্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। সম্প্রতি একটি দলকে মানিক পাড়ার দিকে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বন দফতর। তবে শালবনির উনিশটি হাতির একটি দলকে তাড়াতে পারেনি। দলে হস্তিশাবক থাকায় তাড়াতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই ভেবে বন দফতর খুব বেশি চাপ দেয়নি। স্থানীয়দের দাবি, সেই দলের হাতিগুলি বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পাথরি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় তাণ্ডব তৈরি করে। গ্রামের পাশে থাকা সবজির জমি ধানের জমিতে নেমে ফসল খেয়ে নষ্ট করে দেয়।