রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে স্ত্রী। এই অভিযোগে ঘুমন্ত স্ত্রীকে খুন করল স্বামী! সিভিক ভলিন্টিয়ারের বাড়িতে গিয়ে নিজেই জানাল খুনের কথা! পূর্ব বর্ধমানের কালনার ইসবপুরের ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।


ভোরের আলো ফুটতেই, স্ত্রীকে খুন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে চম্পট দিল ঘরজামাই। পরে সিভিক ভলিন্টিয়ারের বাড়িতে গিয়ে অপরাধ স্বীকার। নেপথ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েন? উঠছে প্রশ্ন। উৎসবের মরশুমে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমানের কালনার ইসবপুর গ্রাম।


মৃতের নাম লক্ষ্মী বিশ্বাস। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামী দীপঙ্কর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত লক্ষ্মী বিশ্বাসের প্রতিবেশী জগদীশ মণ্ডল জানিয়েছেন, দীপঙ্কর স্ত্রীকে খুন করে। পাশের ঘরে শুয়ে ছিলেন শ্বশুর শাশুড়ি। শাশুড়ি যখন ধরতে যায় তখন ছুটে বেরিয়ে গিয়ে সিভিক পুলিশের বাড়ি যায়। তাঁকে ঘুম থেকে তোলে। খুনের কথা স্বীকার করে। তারপর পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।


মৃতের পরিবার জানিয়েছে, ৭ বছর আগে দীপঙ্কর বিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্মীর বিয়ে হয়। 
পেশায় রংমিস্ত্রি দীপঙ্কর হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা হলেও, শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। তাহলে এরকম মর্মান্তিক পরিণতির কারণ কী? পুলিশ সূত্রে দাবি, 


জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে, স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই এই খুন করেছে সে। দীপঙ্কর বিশ্বাসকে টানা জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রবিবার ভোরে তাঁর স্ত্রী যখন দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরের মেঝেয় ঘুমিয়েছিলেন, তখনই তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুন করে সে। 


মৃত লক্ষ্মী বিশ্বাসের বোন রেখা ধর জানিয়েছেন, মাঝে মাঝেই ঝগড়া করত। জামাইবাবু সন্দেহ করত দিদিকে। মাথায় লোহার রড দিয়ে মেরে খুন করেছে। পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, লক্ষ্মী বিশ্বাসের মৃতদেহ তাঁর ঘরের মধ্যেই পড়েছিল। ঠিক কী কারণে এই খুন করা হল, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃত মৃতের স্বামীকে।