কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বিজেপি সাংসদের গাড়িতে ধাক্কা লেগে জখম মহিলা। এই অভিযোগকে ঘিরে শাসক ও বিরোধীর বক্তব্যে উঠল বিতর্কের ঝড়। জানা গিয়েছে, বর্ধমান দূর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়ার গাড়িতে ধাক্কা লাগে মহিলার। মূলত এদিন বর্ধমান রেল স্টেশনে অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংসদ। সেখান থেকে ফেরার সময় বর্ধমান শহরের বীরহাটা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে জোর আক্রমণ শানিয়ে অভিযোগ উড়িয়েছে বিজেপি (BJP)।
'ধাক্কা মারার পরও সাংসদ গাড়ি থেকে নামেননি', অভিযোগ আহত মহিলার
জখম মহিলার নাম ঊষা হাটি। জানা গিয়েছে, আহত ওই মহিলার বাড়ি বর্ধমান শহরের ভাতছালা কলোনি এলাকায়। ইতিমধ্যেই মহিলাকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,কালীবাজার থেকে ঊষা দেবী সাইকেলে করে যাবার সময় সাংসদের গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ঊষাদেবীর অভিযোগ, 'সাংসদ অহলুওয়ালিয়ার গাড়ি তাকে ধাক্কা মারেন। অভিযোগ, ধাক্কা মারার পরও সাংসদ গাড়ি থেকে নামেননি। বরং গাড়ি থেকেই বলেন, হয়ে গেছে তো আমি কী করবো?' মহিলার আরও অভিযোগ, চিকিৎসার খরচ চাইলে দেননি। এমনকি গাড়ি থেকে নেমে জল দেওয়া উচিৎ ছিল। সেটাও করেননি।'
'মানুষের প্রতি এদের কোনও ভালোবাসা নেই', আহতর পাশে তৃণমূল বিধায়ক
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে, প্রথমে তাকে একটি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে তাকে বর্ধমান মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বিকাল ৪ টার সময় মহিলাকে দেখতে হাসপাতালে যান বর্ধমান দক্ষিনের বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর অভিযোগ,' সাংসদের গাড়িতে ধাক্কা লাগলেও তিনি দাঁড়াননি।মানবিকতা বলে কিছু নেই।পাশাপাশি তার অভিযোগ, এর আগে বিরোধী দলনেতা একজনকে মেরে চলে যায়। আসলে মানুষের প্রতি এদের কোনও সহানুভূতি ও ভালোবাসা নেই।মহিলারা চিকিৎসায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটা দেখছি।'
আরও পড়ুন, বাবুল সুপ্রিয় আসতেই 'গো-ব্যাক' স্লোগান, TMC কর্মীদের ছবি তুলে 'সাসপেন্ডের' হুমকি বিধায়কের
'স্লিপ কেটে সাইকেল থেকে পড়ে যান', গোটা অভিযোগ অস্বীকার BJP-র
অপরদিকে, গোটা অভিযোগ উড়িয়েছেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, সাংসদ স্টেশনের প্রোগ্রাম শেষে পার্টি অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন, একটা টোটোকে ওভারটেক করার সময় এই মহিলা সাইকেল নিয়ে মাঝখানে ঢুকে পড়ে। স্লিপ কেটে সাইকেল থেকে পড়ে যান। সাংসদের গাড়ির সঙ্গে অ্যাক্সিডেন্টের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। উনি স্লিপ কেটে পড়ে গিয়ে নিজেই ওঠেন। সাংসদ বলেছেন, দেখে চালাতে হয়। এর অর্থ, যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে মানুষ, মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাবে। ছোটো ছোটো ঘটনাগুলোতে রাজনীতি করাটাই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছে তৃণমূলের। শহরে এটা তো একমাত্র অ্যাক্সিডেন্ট নয়,প্রতিমূহুর্তে শহরে দুর্ঘটনা ঘটে। তখন তো বিধায়ক সাহেব দেখতে যান না। এটা রাজনীতি করার জন্য দেখতে গেছেন।'