কলকাতা: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে ধর্নাতেও তৃৃণমূল বনাম তৃণমূল (TMC Vs TMC)। ফের প্রকাশ্যে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বনাম সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের (Sudarshana Mukherjee) অনুগামীদের দ্বন্দ্ব। মূলত এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে কলকাতার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ধর্না চলাকালীন বাবুল সুপ্রিয় পৌঁছতেই উঠল গো-ব্যাক স্লোগান। আর সেই ঘটনা নিয়ে এবার ভাইরাল ভিডিও। যদিও ছবি তুলতে তুলতে হুমকি দল থেকে সাসপেন্ড করার হুমকি দেন বাবুল, দাবি তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের।


বাবুল সুপ্রিয় আসতেই গো-ব্যাক স্লোগান


জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ৬৮ নম্বর তৃণমূলের ধর্না চলছিল। ঠিক তখনই পৌঁছোলেন বাবুল সুপ্রিয় । সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের অভিযোগ, বয়স্কদের সরিয়ে দিয়ে মঞ্চে জুতো পরে ওঠেন বাবুল। বাবুল সুপ্রিয় আসতেই একজন গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন, ভাইরাল ভিডিও। বাবুল উত্তেজিত হয়ে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন, মঞ্চে উঠে যান। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় স্টেজ থেকে  ওপর থেকে বাবুল তৃণমূল কর্মীদের ছবি তুলছেন। ছবি তুলতে তুলতে হুমকি দেন, দল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার। 


যা হয়েছে ভিডিও করে দলকে পাঠিয়েছি : বাবুল সুপ্রিয় 


ফোনে প্রতিক্রিয়া পরবর্তী সময়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, 'কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বক্তব্য রাখাটা আমাদের কাজের মধ্যেই পড়েছিল। সেজন্যই গিয়েছিলাম। যা হয়েছে ভিডিও করে দলকে পাঠিয়েছি। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে দল অবহিত।'


তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এই প্রথমবার নয়, বিতর্কিত আরও অনেকেই


প্রসঙ্গত, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এই প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছে তা নয়। আগেও বহুবার সামনে এসেছে। বিধায়কদের বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে, একে অপরের বিরুদ্ধে। অসংখ্যবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। শুধু তিনিই নন, একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে,ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনায় দলকেই নিশানা করেছেন তিনি। ভোট মিটতেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'এরকম রক্তাক্ত করে জিতে কী হবে। জেতার জন্য খুন, লুঠ, পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না।' তবে এনিয়ে তাঁকে সতর্কও করা হয়েছে দলের তরফে। 


আরও পড়ুন, নদিয়ায় TMC-র জয়ী প্রার্থী-সহ যুব নেতাকে 'ধারালো অস্ত্রের কোপ', পলাতক অভিযুক্ত


বিতর্কে বাবুল


আর এবার আরও একবার বিতর্কে জড়ালেন বাবুলও। মূলত একটা সময় তৃণমূল যোগের আগে ছবিটা ছিল ভিন্ন। বিজেপিতে থাকাকালীন' এই তৃণমূল আর নয়, আর নয়', বলে গানে- স্লোগানে তাকেও দেখা গিয়েছিল। তৃণমূলে কোনও দিনই যোগ নয় বলেও একুশের বিধানসভার পর ছবি বদলে গিয়েছিল। সব ছেড়ে তিনিও তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল। তারপর কোন আসনে দল তাঁকে দাড় করাবে, এনিয়েও কম কটু কথা ওঠেনি। শেষ অবধি বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের তরফে। যদিও তেইশে এসে সেই দলে থেকেই এবার তৃণমূল বনাম তৃণমূলে জড়ালেন তিনিও।