কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: সিপিএমের (CPIM) আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বর্ধমান (Burdwan) শহরের কার্জন গেট এলাকা। পাল্টা আন্দোলনরত সিপিএম (CPIM) কর্মীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ (Police)। লাঠিচার্জও করা হয়। গতকালের ওই ঘটনায় ৪৬ জন বাম নেতা, কর্মী, সমর্থককে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগ তুলে আজ জেলাজুড়ে মিছিল পথসভা করবে বামেরা।                           


এরই মধ্যে সিপিএমকে হুমকি তৃণমূল বিধায়কের। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস বলেন, "আগামীদিনে তাণ্ডব করলে, সিপিএম নেতাদের বুঝিয়ে দেব, তাণ্ডব কাকে বলে। সাবধান করে দিচ্ছি"। এই ভাষাতেই সিপিএমকে হুমকি দিলেন তিনি। খোকন দাস এও বলেন, 'মমতা ও অভিষেক নির্দেশ দিয়েছে শান্ত থাকতে, তাই শান্ত আছি। সিপিএম যে তাণ্ডব করেছে, বন্ধ করা ৫ মিনিটের ব্যাপার ছিল। হাজার হাজার কর্মীরা সিপিএমের পার্টি অফিস ভেঙে দিতে চেয়েছিল। দলনেত্রীর নির্দেশে শান্ত আছি, শান্ত থাকতে চাই। কলকাতা থেকে বারণ করেছি। তাই কিছু করিনি।'                       


গতকাল সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসূচি চলাকালীন ভাঙচুর চলে বর্ধমান কার্জন গেটের কাছে বিধায়কের জনসংযোগ কার্যালয়ে। সেই ঘটনা উল্লেখ করে তৃণমূল বিধায়কের হুমকি, পাল্টা সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙতে চেয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে মেনে তাদের আটকানো হয়। তৃণমূল বিধায়কের হুমকি প্রসঙ্গে সিপিএমের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।                                        


আরও পড়ুন, ‘ব্যাপক হবে ভোট’, জেলে বসেই পঞ্চায়েত ভোটের ভাবনা অনুব্রতর?


দুর্নীতিগ্রস্তদের গ্রেফতারির দাবি, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যপণ্যের ওপর GST ও চরম বেকারত্ব সহ নানা ইস্যুতে এদিন, দুপুরে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় ও স্টেশন বাজার থেকে শুরু হয় সিপিএমের মিছিল। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জেলা শাসকের দফতরে যাওয়ার পথে, কার্জন গেটের সামনে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকায় পুলিশ। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়।