রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়ার পানুহাটে একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। স্ত্রী, মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহকর্তা, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পেশায় গাড়িচালক নইম শেখ। তাঁর আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তিনটি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহকর্তার ঝুলন্ত, স্ত্রী মেঝেতে ও দম্পতির ১৪ বছরের মেয়ের দেহ বিছানায় পড়েছিল। কারণ খতিয়ে দেখছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এই পরিবারের মধ্য়ে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি লেগেই ছিল। বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝামেলা লেগে যেত। তবে পুলিশ পুরো ঘটনা তদন্ত করছেন।
এদিকে, গতকাল একটি অস্বাভাবিক খুনের ঘটনা সামনে এসেছিল। ছেলের অসুস্থতার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে জামাইকে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার ঘুঘুডাঙা এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইটাহার থানার পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে, মৃতের নাম ছোট সোরেন। বছর সাঁইত্রিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি বারোভিটা এলাকায়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হওয়ায় ছোট সোরেনের স্ত্রী সানিয়াল হেমব্রম ছেলেকে নিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যান। এরপর গত বুধবার স্বামীকে ছেলের অসুস্থতার খবর দেন স্ত্রী সানিয়াল। তার সঙ্গে স্বামীকে বাপের বাড়িতে ডেকেও পাঠান তিনি। অভিযোগ উঠেছে যে, বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর ও শ্যালিকা মিলে বেধড়ক মারধর করেন ছোট সোরেনকে। মারধরের পর মারাত্মক জখম অবস্থায় শুক্রবার কেউ বা কারা তাঁকে একটি টোটোতে চাপিয়ে দেন। তাঁরা আরও অভিযোগ তুলেছেন যে, ছোট সোরেনের এমন অবস্থার খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির লোকেরা শুক্রবার রাত দশটার সময় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেন। কিন্তু মারধরের কারণে ওই ব্যক্তি এতটাই আহত ছিলেন যে, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই রাত দুটোর সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
আরো পড়ুন: মনোনয়ন জমা বাবুল-শত্রুঘ্নর