কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পরপর চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহর বর্ধমানে। বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইরে গেলেই বাড়িতে হানা দিচ্ছে চোর৷ কখনও রেনেসাঁস টাউনসিপ,তো কখনও বাবুরবাগ এলাকায়। এবার চোরেদের হানা সরকারি আবাসনে। পুলিশ সুপারের আবাসন থেকে কয়েকশ মিটার দূরে। আবাসনের কোয়ার্টারে কেউ না থাকার সুযোগে তিনটি কোয়াটারে তালা ভেঙে চুরি। চোরের আতঙ্কে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে বর্ধমান বাসী। কয়েকদিন আগে বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায়  চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে তালা ভেঙে নগদ টাকা ও সোনাদানা নিয়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা। বর্ধমান শহরের একাধিক এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। বাড়ি ফাঁকা থাকলেই চুরি হচ্ছে। বর্ধমানের নবাবহাট এলাকার একটি টাউনশিপে বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। বাড়িতে না থাকার সুবাদে দুটি বাড়িতে পরপর চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও মাসখানেক আগে  বাহিরসর্বমঙ্গলা এলাকায় একটি বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে তালা ভেঙে চুরি হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গাতেও একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে। 
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,শহরে চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে,নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি,আতঙ্কে আছি। চুরি হবার পর পুলিশ যাচ্ছে,থানায় অভিযোগও হচ্ছে কিন্তু চুরি যাওয়া জিনিষ উদ্ধার হচ্ছে না।
যদিও পুলিশ সুপার কামনাশীস সেন জানিয়েছেন চুরি রুখতে শহরে আরও ১৫০ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে, ইতিমধ্যেই পুলিশের বিভিন্ন টহলদারি ভ্যানের সংখ্যা যেমন বাড়ানো হয়েছে তেমনি বাইকে করেও টহল দেওয়া হচ্ছে।জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং চলছে।বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।


পাশাপাশি তিনি আরোও জানান কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অ্যাপস নিয়ে আসা হচ্ছে তার মাধ্যমে বাড়িতে কেউ না থাকলে তা জানাবার ব্যাবস্থা থাকবে।
শহরে চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কল্লোল নন্দনের অভিযোগ শহরের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে,বাড়িতে বাড়িতে চুরি হচ্ছে।শহরের নিরাপত্তা কোথায়?সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নেই বর্ধমান শহরে। বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে তৃনমুলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের দাবী অভিযোগ করাই বিজেপির কাজ।পুলিশ নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে।অপরাধীদের ধরবে।