রানা দাস ও কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ওভারলোডেড বালি বোঝাই গাড়ি (overloaded sand truck) ধরতে প্রশাসনের অভিযানে উত্তেজনা। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোটে ২ আধিকারিক সহ পরিবহণ দফতরের ৫ জনের ওপর হামলা চালাল বেআইনি কারবারিরা। গুরুতর আহত তিনজন।
প্রশাসনের অভিযানে উত্তেজনা
ওভারলোডেড বালির গাড়ি ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পরিবহণ দফতরের ২ আধিকারিক-সহ ৫ জন। লাঠি, রড, পাথর নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাদশাহি রোডের কাছে বহন ক্ষমতার থেকে বেশি বালি ভর্তি লরি ধরতে অভিযান চালায় জেলা পরিবহণ দফতরের একটি দল।
সূত্রের খবর, সেই সময় চারটি ডাম্পারে অতিরিক্ত বালি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরিবহণ দফতরের কর্মীরা ডাম্পার গুলিকে আটকান। বৈধ নথি না থাকায়, ডাম্পার চালকদের সিজার লিস্ট ধরানো হয়।
অভিযোগ, সেই সময় অভিযান চালানো টিমের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। লাঠি, রড, পাথর দিয়ে চলে হামলা চালান ডাম্পারগুলির চালক ও তাঁদের সঙ্গীরা।
২ জন মোটর ভেহিকল ইনস্পেক্টর-সহ তিনজন এই ঘটনায় আহত হন। পূর্ব বর্ধমানের RTO অনুপম চক্রবর্তীর কথায়, 'আমরা খবর পেয়ে যাই ওখানে। দেখি বালি যাচ্ছে। ৫ জন ছিল। লাঠি, রড পাথর নিয়ে চড়াও হয়। মারধর করে। স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে।'
শেষে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে চিকিত্সার ব্যবস্থা করে। গুরুতর আহত ৩ জনকে প্রথমে ভাতার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওভারলোডেড বালির গাড়ি ধরতে অভিযান
আক্রান্ত পরিবহণ দফতরের ৫। অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, অবৈধ বালি কারবারে জড়িত রয়েছে তৃণমূল। আর ঘাসফুল শিবিরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে অন্যায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বালি কারবারের সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। যারা সরকারি আধিকারিকদের গায়ে হাত দিয়েছে, তারা তৃণমূলের। না হলে, গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পেত না।'
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর কথায়, 'মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। তৃণমূল কোনও অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যে অন্যায় করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এই ঘটনায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জেলা পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।