রাণা দাস, কালনা : ক্লাসরুমে গাদাগাদি করে বসে খুদে পড়ুয়ারা। মাস্ক নেই তাদের অনেকের মুখেই। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে বেসরকারি স্কুল চালানোর অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছেন কালনার মহকুমাশাসক। পড়ুয়াদের কথা ভেবেই পড়ানো হচ্ছিল বলে সাফাই দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা।


বাইরে থেকে বন্ধ দরজা। দরজা খুললেই ভিতরে খুদে পড়ুয়াদের লাফালাফি। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্ববিধির বালাইও। এ ছবি দেখলে, কে বলবে, করোনা বলে কিছু আছে ?


করোনা আবহে প্রাথমিক স্কুল খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতেই সরকারি নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পূর্ব বর্ধমানের হাট কালনায় বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পঠনপাঠন চলছে বলে অভিযোগ।


ছোট ক্লাসরুমে অসংখ্য পড়ুয়া। এমনকী আঁচলে মুখ ঢেকে পড়াচ্ছেন খোদ শিক্ষিকা । কিন্তু এমনটা কেন? প্রধান শিক্ষিকার গলায় সাফাইয়ের সুর! স্কুল যাওয়াকে সমর্থন করছেন অভিভাবকরাও।


হাট কালনার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু চক্রবর্তী বলেন, স্কুল চলছে না। বাচ্চাদের পড়াশোনা বোঝানোর জন্য ডাকা হয়েছে। অনলাইনে পড়া বোঝাতেই হয়েছে। সরকারি নিয়ম জানি। করছি পড়ুয়াদের কথা ভেবেই। অভিভাবকরা সকলেই শিক্ষিত নন। তাই বাচ্চাদের ডেকে পড়াতে হচ্ছে।


বিশ্বনাথ কর্মকার নামে এক অভিভাবক বলেন, সরকারি নিয়ম জানি। স্কুলে না গেলে পড়াশোনা হচ্ছে না, তাই পাঠিয়েছি।


এদিকে এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কালনার মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ। তিনি বলেন, সরকারিভাবে নির্দেশিকা নেই। কীভাবে স্কুল খুলল ? এসআই-এর রিপোর্ট চেয়েছি।


পড়াশানো অবশ্যই জরুরি! কিন্তু করোনার হাত থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক ও দূরত্ববিধি মানাটাও সমান জরুরি, বলছেন চিকিৎসকরা।


এদিকে করোনা আবহে স্কুল খুললেও, চালু হয়নি নিচু তলার ক্লাস। তবে শিলিগুড়িতে ধরা পড়ল অন্য ছবি। কমিউনিটি হল ভাড়া করে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছেন স্কুল শিক্ষকরা। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরও। এই ছবি শিলিগুড়ির নেতাজি GSFP স্কুলের।