পূর্ব বর্ধমান: 'লাইফ ইনসিওরেন্স (LIC Fear) উঠিয়ে দেবে, বিমার টাকা পাবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে', কেন্দ্রীয় বাজেটের (union budget 2023) পর দিনই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (west bengal cm mamata banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বর্ধমান থেকে এমনই বার্তা তৃণমূলনেত্রীর।


কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
গত কাল আর্থিক বাজেট পেশের পর থেকে তুমুল হইচই দেশের নানা প্রান্তে। আদানি গোষ্ঠীর এফপিও বন্ধ হওয়া ঘিরে এদিনই সংসদে প্রতিবাদ দেখান বিরোধীরা। দুপুর ২টো পর্যন্ত দুই কক্ষেই অধিবেশন মুলতুবি রাখা হয়। এর মধ্য়ে বর্ধমানের সভা থেকে মুখ্য়মন্ত্রীর আক্রমণ, 'এলআইসি, ব্যাঙ্কের টাকা নিয়ে পার্টির কয়েকজনকে সুবিধা দিচ্ছে। লাইফ ইনসিওরেন্স উঠিয়ে দেবে, বিমার টাকা পাবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে।' সংসদের অধিবেশনেও কার্যত একসুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস-সহ বাকি বিরোধী দলগুলির কথায়। তৃণমূলনেত্রী অবশ্য শুধু এতেই থামেননি। তাঁর অভিযোগ, 'কেন্দ্রের নতুন আয়কর কাঠামোয় শুধুই জাগলারি রয়েছে। ...২ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ টাকা কেটে নেবে'। সঙ্গে আরও মত, 'বেকারদের জন্য কিছু নেই কেন্দ্রের বাজেটে।' 


আর কী?
গত কাল বাজেটের পর যে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল, এদিন সে কথা মনে করাতেও ভোলেননি তৃণমূলনেত্রী। বলেন, 'গত কাল তো সরকারটিই পড়ে যাচ্ছিল। ধস আটকাতে কাউকে বলা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা দিন। কাউকে বলা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা দিন। ৬-৮ জনকে ফোন করে শেয়ার কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' বস্তুত, এদিন সংসদের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও জানান, যে ভাবে আদানি গোষ্ঠীর এফপিও বন্ধ হয়েছে তার তদন্ত চান তাঁরা।


সংসদে হইচই...
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, 'হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি বানিয়ে গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক, নয়তো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি বানিয়ে তদন্ত করুন। শুধু তাই নয়। প্রত্যেক দিনের রিপোর্ট পেশ করতে হবে।' সমাজবাদী পার্টির তরফেও বিষয়টিকে সমর্থন করে জানানো হয়, দেশের বাসিন্দাদের মধ্য়ে যাঁরা ব্যাঙ্ক বা এলআইসিতে টাকা রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এমনকি স্টেট অফ ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানও টাকা তুলতে আসা গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির। তাদের দাবি, এসবিআইয়ের এসব ক্ষেত্রে যুক্তি, পরে আসতে বলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। বিরোধীদের প্রশ্ন, এখনও পর্যন্ত লোকে ব্যাঙ্ককেই টাকা রাখার ব্যাপারে সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করত। কিন্তু এর পর কী হবে? তাই গোটা বিষয়টির তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। খাড়্গে-সহ বাকি দলের নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকেও। 


আরও পড়ুন:‘শেয়ার বাজারের ধসে পড়ে যাচ্ছিল সরকার, শেষ মুহূর্তে টাকা চেয়ে ফোন’, কোন দিকে ইঙ্গিত মমতার!