কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : বর্ধমান পুরসভায় (Burdwan Municipality) তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী-ক্ষোভ। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে শাসকদলের জোড়া প্রার্থী। গতকালই মনোনয়ন দাখিল পর্ব শেষ হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ৩৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে ৪২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।  


টিকিট-ক্ষোভে ধরা পড়েছে নানান ছবি। নিজে এবং নিজের স্ত্রীকে প্রার্থী করতে না পেরে কেঁদে ভাসালেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আবদুল রব। অন্যদিকে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন তাঁর স্বামী পূর্ব বর্ধমান জেলার আইএনটিটিইউসি-র প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকার আহমেদ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর পড়ে গিয়ে জখম হন স্ত্রী। তার পরিবর্তে দলের প্রার্থী হওয়ার আশায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত, দাবি তৃণমূলের শ্রমিক নেতার। আজ তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু দল তাঁর স্ত্রীকেই প্রতীক দিয়েছে বলে দাবি তাঁর।


আরও পড়ুন ; টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মেমারি পুরভোটে প্রার্থী তৃণমূলের দু’বারের কাউন্সিলর


পুরভোটের আগে প্রার্থী বিক্ষোভের জেরে দলবদল। টিকিট না মেলায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও ভাঙন তৃণমূলে। 


টিকিট না মেলায় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুরসভার ২ বারের তৃণমূল কাউন্সিলর। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নও জমা দিয়েছেন তিনি। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে পদ্ম ক্ষেত্রপালকে। সেই কারণেই তৃণমূলত্যাগ, দাবি কংগ্রেস প্রার্থীর। 


মেমারি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রূপা খাঁড়া বলেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল আরেকজনকে প্রার্থী করেছে। তাই কংগ্রেসে যোগদান।


পুরভোটের আগে এই দলবদল নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল বলেন, যারা স্বার্থের জন্য দল করে তারা এটাই করবে।


মেমারি ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের আহ্বায়ক আশিস দত্ত জানান, উনি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।


বিধানসভা ভোটের পর এবার পুরভোটেও প্রার্থী অসন্তোষ নিয়ে চলছে দলবদলের পালা।