কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: এ যেন একেবারে 'হাতে চাঁদ পাওয়া'। সকালে কপাল ঠুকে লটারি টিকিট (Lottery Ticket) কাটেন অনেকেই। কিন্তু দুপুরেই সেই টিকিট জিতে কোটিপতি হতে পারে ক'জন? ঠিক এমনভাবেই কোটিপতি হলেন  শক্তিগড়ের (Shaktigarh) বাম এলাকার বাসিন্দা শেখ হীরা। 


তিনি পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। হঠাৎ করে লটারিতে কোটিপতি হওয়ায় যেন দিশেহারা এবং কিছুটা দিকভ্রান্তও। অগ্যতা তিনি ছুটলেন থানায়। পুলিশ অফিসারদের কাছে জানতে চান, এখন কি করা উচিত তাঁর? বৃহস্পতিবার সকালে লটারির টিকিট কেটেছিলেন শেখ হীরা। আর দুপুর হতেই তিনি হয়ে গেলেন একেবারে কোটিপতি। এ যেন বৃহস্পতিবারে লক্ষ্মীলাভ! 


বিপুল টাকা জিতে রীতিমতো নার্ভাস হীরা। আর কিছু ভেবে উঠতে না পেরে সোজা চলে যান শক্তিগড় থানার পুলিশের কাছে। লটারির টিকিটি ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয় মনের মধ্যে। অবশেষে পুলিশি নিরাপত্তায় তিনি বাড়ি ফেরেন। 


তিনি জানান যে, তাঁর মা অসুস্থ। সেই চিকিৎসায় মোটা টাকার খরচ রয়েছে। অথচ আয় বলতে পরের অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যেটুকু রোজগার। তবে কপালের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। যদি কোনও দিন মোটা টাকা মেলে এই আশায় হীরা লটারির টিকিট কাটতেন মাঝেমধ্যেই। সেইমতো বৃহস্পতিবার সকালেও ২৭০ টাকার লটারির টিকিট কাটেন। বেলা দেড়টায় সেই টিকিট মেলাতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ! 


তাঁর হাতে থাকা টিকিটেই মিলেছে প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা। বার বার মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর আর সময় নষ্ট করেননি হীরা । সোজা পৌঁছে যান থানায়। শেখ হীরা বলেন, আমি পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। টাকা পাবার আশায় লটারির টিকিট কাটতাম ঠিকই, কিন্তু আজ কোটি টাকা আমার কপালেই  আসবে স্বপ্নেও ভাবিনি। কি করব ভেবে উঠতে না পেরে পরামর্শ নিতেই থানায় যাই। 


কিন্তু এতো টাকা নিয়ে কি করবেন? একই পাড়ার বাসিন্দা লটারি বিক্রেতা শেখ হালিম জানান, হীরারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। টাকার অভাব ছিল। সেটা মিটল। টিকিট বিক্রেতা শেখ হালিম আরও জানান,  বহু বছর ধরে টিকিট ব্যবসা করছি। অনেকেই টিকিট কাটেন। কিছু পুরস্কার মেলে মাঝেমধ্যেই। কিন্তু এত বড় পুরস্কার আমার দোকান থেকে আগে  কখনো ওঠেনি। দীর্ঘ ২১ বছর পর আজ আমি এমন পুরস্কার দিতে পেরে খুবই খুশি।