রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কারখানা বানিয়ে মাদক তৈরির অভিযোগ, তাও আবার খোদ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে। কাটোয়োর এমনই একটি ঘটনার তদন্ত চলছিল। সেই কারবারে জড়িত থাকার সন্দেহে রবিবার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে মণিপুরের (Manipur) বাসিন্দা, ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ (STF)। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর কাঁচামাল। এই নিয়ে এই কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬।


প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে মাদক কারবারের চক্র ফাঁস হয়েছিল। রীতিমতো, ল্যাবরেটরি তৈরি করে বানানো হতো হেরোইন। 


আগে বাড়িতে তল্লাশি:
এমনই অভিযোগে, শনিবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Medinipur) কাটোয়ায় (Katwa), প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও কাটোয়া থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় গোলাম মুরশেদ নামে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে, রবিবার, বিমানবন্দর সংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকা থেকে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হল মণিপুরের (Manipur) বাসিন্দা দুই পাচারকারী। এর ফলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক (Drug) তৈরির বেশ কয়েক কেজি কাঁচামাল। সূত্রের খবর, মণিপুর থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসা হতো কাটোয়ায় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে। সেখানেই তৈরি করা হতো হেরোইন। তারপর সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হতো নিষিদ্ধ মাদক। 


ভিনরাজ্যেও যোগ:
তবে কি মাদক কারবারে আন্তঃরাজ্য যোগ রয়েছে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কাটোয়ায় যে বাড়ি থেকে মাদকের চক্র ফাঁস হয়েছে, সেখানে নাকি সুইমিং পুলও রয়েছে। বাড়িতে রয়েছে প্রচুর গাছ। যদিও মাদক কারবারের কথা মানতে চায়নি ধৃত নৌসেনা কর্মীর পরিবার। ধৃত নৌসেনা কর্মীর বোন বলেন, 'যেখান থেকে মাদক পাওয়া গেছে, সেটা রান্নাঘর। মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি, বহুদিন থেকেই মাদক কারবারে জড়িত প্রাক্তন এই নৌসেনা কর্মী। কারবার চালাতে এই কাজে অভ্যস্ত একাধিক লোককে টাকা দিয়ে কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। রবিবার, কাটোয়া থানার হাত থেকে এই মাদককাণ্ডের তদন্তভার নেয় STF। 
  
আরও পড়ুন: ফের হরিদেবপুর, এবার কলেজছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ; বাড়ি থেকে উদ্ধার নিথর দেহ