রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃহদেহ। আত্মঘাতী বধূর পরিবারের পরিবারের অভিযোগ, গায়ের রং কালো বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে সারাক্ষণ তাঁকে গঞ্জনা শুনতে হত। তার সঙ্গে চলত অত্যাচারও। গঞ্জনা ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই গৃহবধূ। পূর্বস্থলী থানায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে এমনই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত বধূর পরিবারের লোকেরা।
যা অভিযোগ উঠেছে-
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা সরোজিনী ঘোষের সঙ্গে পূর্বস্থলীর দেবার্ঘ্য ঘোষের। সোশ্যাল মিডিয়া তাঁরা একে অপরের ছবি দেখে সম্পর্ক তৈরি করেন। সম্পর্ক বাড়তে থাকে চ্যাটের মাধ্যমে। এরপরই তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ উঠেছে, ফেসবুকে ফর্সা ছবি দেখেই প্রেমে পড়লেও যখন মুখোমুখি দেখা হয়, তখন ওই মৃত বধূর সঙ্গে ছবির কোনও মিল ছিল না। তারপরও তাঁরা বিয়ে করেন। চার বছর আগে বিয়ে হয় ওই যুগলের। গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানাচ্ছেন যে, তাঁদের মেয়ের গায়ের রং কালো বলে বিয়ের পর থেকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড় তাঁর উপর সারাক্ষণ অত্যাচার চালাতেন। কালো বলে সবসময় খোঁটা দিতেন। আর দিনের পর দিন সেই গঞ্জনা ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
আরও পড়ুন - Katwa: কাটোয়ায় বাস থেকে উদ্ধার ৭ কেজি বিস্ফোরক, গ্রেফতার ২
জানা গিয়েছে, গতকাল পূর্বস্থলীর ধামাস গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় বধূর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। পূর্বস্থলী থানায় মেয়ের পরিবারের লোকেরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, লিখিত অভিযোগে কোথাও কালো বলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত এমন কথা লেখা নেই। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।