রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: চলতি মাসের শুরুর দিকে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কেতুগ্রামে (Ketugram) ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। নার্সের চাকরি পাওয়ার পরই স্ত্রীর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলে স্বামী। তারপর নিজেই সেই অবস্থায় স্ত্রীকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এবার, স্ত্রীর কব্জি কাটার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি অভিযুক্ত স্বামীর।
রেণু খাতুনের কব্জি কাটার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি স্বামী শের মহম্মদের-
এদিন ঘটনার পুনঃনির্মানের জন্য রেণু খাতুনের (Renu Khatun) স্বামী শের মহম্মদসহ আরও তিন অভিযুক্ত চাঁদ মহম্মদ, আসরাফ আলি শেখ ও হাবিব শেখকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। কোজলসা গ্রামে রেণু খাতুন যে ঘরে শুয়েছিলেন, সেখানে আসে অভিযুক্তরা। ঘটনা কীভাবে তারা ঘটিয়েছিল, তা পুলিশের সামনে পুনঃনির্মান করে দেখায় তারা। পুলিশকে তারা দেখায় কীভাবে রেণুর দুটো হাত চেপে ধরেছিল আসরাফ আলি শেখ ও পা দুটো চেপে ধরেছিল হাবিবুর শেখ। এরপর শের মহম্মদ প্রথমে সাঁড়াশি দিয়ে রেণুর মাথায় আঘাত করে। পরে কাঠারি দিয়ে রেণুর কব্জি থেকে কেটে নেয় তারা। ঘটনার সময়ে গ্রামের রাস্তার ধারে পাহারা দিচ্ছিল চাঁদ মহম্মদ। রেণুর চিৎকারে প্রতিবেশীসহ পাশের ঘরে থাকা শের মহম্মদের বাবা সিরাজ শেখ ও মেহেরনিকা বিবি বেরিয়ে আসেন। প্রতিবেশীদের পরামর্শে রেণুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন - Purba Bardhaman News: মাকে খুন করে মৃতদেহের পাশে বসে ছেলে, ব্যাপক চাঞ্চল্য আউশগ্রামে
স্ত্রীর কব্জি কাটার ঘটনার পুনঃনির্মান করতে এসে প্রধান অভিযুক্ত শের মহম্মদ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলে, 'ছোট্ট ঘটনার জন্য এতবড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেললাম। সেজন্য অনুশোচনা হচ্ছে। স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার জন্য আমি লড়েছি। স্ত্রী চাকরি করুক এটা আমি চাইছিলাম। কিন্তু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই এই কাণ্ড ঘটেছে।' বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও কার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, তা খোলসা হয়নি এখনও পর্যন্ত। কেতুগ্রাম থানার আইসি সুমন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেতুগ্রামে কব্জি কাটার ঘটনার পুনঃনির্মানের জন্য চার অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারা গোটা ঘটনা পুলিশের সামনে ফের দেখিয়েছে। প্রত্যেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।