রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: সমাজ উন্নত হচ্ছে। মানুষ উন্নত হচ্ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপও। সম্প্রতি আধুনিক কায়দায় চলছিল বোমা বিক্রি (Bomb Selling)। বোমা বিক্রি চক্রের হদিশ পেয়ে চোখ কপালে উঠছে পুলিশের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়ার (Katwa) মুলাটি গ্রামে। 


ফোনের মাধ্যমে বোমা বিক্রির ব্যবসা-


আজকের দিনে ফোনের মাধ্যমে জিনিসপত্র কেনাকাটা খুবই সাধারণ ঘটনা। সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও হামেশাই ফোনের মাধ্যনে জিনিসপত্র কিনে থাকেন। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ছবি দেখে অর্ডার দিয়ে দিলেই তা বাড়িতে এসে পৌঁছে যায়। টাকাও দিয়ে দেওয়া যায় অনলাইনে কিংবা পে অন ডেলিভারি বা জিনিস হাতে পেয়ে টাকা দেওয়ার নিয়মও রয়েছে। এবার সেই পদ্ধতিতেই চলছিল বোমা বিক্রির ব্যবসা। ছবি দেখিয়ে বোমার অর্ডার নেওয়া হত। তারপর চাহিদা মতো বোমা পৌঁছে যেত যে অর্ডার দিয়েছে তার কাছে। ফোনের মাধ্যমেই চলছিল বোমা বিক্রির ব্যবসা। এমনই এক চক্রের হদিশ পেয়ে কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে চক্রের মূল পাণ্ডাকেও।


আরও পড়ুন - Purba Bardhaman: রাস্তার দাবিতে ধুন্ধুমার, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বচসায় জড়াল গ্রামবাসী


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মকবুল শেখ। গোপন সূত্রে খবর আসে যে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মুলাটি গ্রামে অভিযুক্ত মকবুল শেখ ফোনের মাধ্যমে বোমা বিক্রির ব্যবসা চালাচ্ছে। খবর পেয়েই অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে মকবুল শেখের বাড়ির বাথরুমের ছাদ থেকে ৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করে তারা। জানা গিয়েছে, গ্রাহককে সরবরাহ করার আগে বোমাগুলি তুষের উপর রেখে শুকোতে দিয়েছিল অভিযুক্ত। তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মকবুলের বাজেয়াপ্ত করা ফোন থেকে বোমা বিক্রির অনেক তথ্য পুলিশ পেয়েছে। অভিযুক্তকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পেশ করেছে পুলিশ। তার সঙ্গে আদালতে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদনও জানান তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, অভিযুক্ত মকবুল শেখ বোমা তৈরি করে সেই ছবি গ্রাহকদের পাঠিয়ে অর্ডার নিত। তারপর তা বিক্রি করত। এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত রয়েছে, তা জানার জন্য এবং এই ঘটনা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মকবুলকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে কাটোয়া থানার পুলিশ।