কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) প্রাপকদের সম্মান সভা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারিতে। সভার উদ্যোক্তা ছিল স্থানীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সভায় পাকা রাস্তার দাবিতে প্রধান, উপপ্রধানের সামনেই উল্টে ফেলা হল চেয়ার। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন গ্রামবাসী। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


সভা ঘিরে উত্তেজনা, বচসা


সভা শুরুর আগেই তুমুল উত্তেজনা। উল্টে ফেলে দেওয়া হল চেয়ার। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের জেরে পণ্ড হয়ে গেল সভা। এই ছবি পূর্ব বর্ধমানের মেমারির। 


লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য রবিবার বিকেলে, বিজরা গ্রামে সভার আয়োজন করেছিল মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু, সভা শুরুর আগে আমাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের সামনেই গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার বেধে যায়। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে পাকা রাস্তার দাবি জানিয়েও কাজ না হওয়ায়, বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।


বাসিন্দাদের দাবি, 'রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। হাঁটাচলা করা যায় না। কোনও গাড়ি এই রাস্তায় আসা যাওয়া করতে চায় না। অর্ধেক রাস্তা এসে থেমে যায়। বাইরের গাড়ি , অটো, টোটো কিছুই ঢুকতে চায় না।'


গ্রামের যে রাস্তাকে কেন্দ্র করে এত গন্ডগোল, তার কী অবস্থা? বেহাল হয়ে রয়েছে রাস্তা। খানাখন্দ সঙ্গে জল জমা। বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত অফিসে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। গ্রামবাসীদের দাবিকে সমর্থন করলেও, আন্দোলনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক।


মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের কথায়, 'গ্রামবাসীদের দাবি অন্যায় নয়। তবে দাবি আদায়ের পদ্ধতি ঠিক নয়, নিন্দনীয়।'


গোটা বিষয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা


অন্যদিকে গ্রামবাসীদের ক্ষোভকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। বর্ধমান সদর সাংগঠিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের মন্তব্য, 'এটা কাটমানির সরকার। কেন পাকা রাস্তা হয়নি?'


 



আরও পড়ুন: Weather Update: বিকেলের পর বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি


এবিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত আমাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের দাবি, বিক্ষোভের নামে হেনস্থা করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা যে রাস্তার দাবি জানাচ্ছেন, সেই রাস্তার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সারা হয়েছে। টাকা এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। যদিও গ্রামবাসীরা প্রধানের তোলা হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।