কমলকৃষ্ণ দে, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান: সম্প্রতি প্যাকেটদাত মুড়ি জিএসটির (GST) আওতায় এনেছে কেন্দ্র। ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তখনই দর্শকদের মধ্যে তাঁর নজরে পড়ে মুড়ি। তৎক্ষণাৎ সেই মুড়ি আনার নির্দেশ দেন মমতা। তাড়া দিয়ে হাতে হাতে ওই মুড়ি চলে আসে মঞ্চে। তারপর একটি ট্রে-তে ওই মুড়ি ঢেলে তা তুলে ধরে ফের আক্রমণ শানান মমতা। মুড়ি আনার সময়েই আশ্বস্ত করেছিলেন, ওই মুড়ি ফেরতও দিয়ে দেবেন। কথাও রাখলেন তিনি, বক্তব্যের পরেই ফেরত পাঠালেন মুড়ি। কোথা থেকে এসেছেন ওই সমর্থক? জিজ্ঞেসও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদতে সেই মুড়ি গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউসগ্রাম থেকে।
আউসগ্রাম থেকে কলকাতা:
আউশগ্রামের তেলতা গ্রামের কয়েকজন যুবক ২১ জুলাইয়ের সভায় (TMC 21 July) যোগ দিতে গিয়েছিলেন কলকাতা। রাস্তাঘাটে যদি হঠাৎ খিদে পায়? তা ভেবেই সঙ্গে নিয়েছিলেন মুড়ি। সেটা যে এভাবে তাঁদের দিদি চাইবেন, তা এখনও ভাবতে পারছেন না তাঁরা। স্বয়ং দিদি মুড়ি চেয়েছেন, এমন ঘটনা যেন স্বপ্ন মনে হয়েছে আউসগ্রামের (Ausgram) দেবাশিস,নিরঞ্জনের মতো ওই জনা পঁচিশ যুবকের। ফেরার পথে অতি যত্নে সামলে রেখেছেন ওই মুড়ি। খিদে পেলেও তাঁরা সেই মুড়ি খাননি। কিন্তু কেন?
গ্রামে বিলি:
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁয়া লেগেছে ওই মুড়িতে। তাই সেই মুড়ি আর খাননি তাঁরা। সঙ্গে করে কলকাতা (Kolkata) থেকে নিয়ে এসেছেন, মমতার ছোঁয়া মুড়ি গ্রামের সব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেবেন বলে। ২০২২-এর ২১ জুলাই তাঁরা সারা জীবনেও ভুলতে পারবেন না বলেই জানাচ্ছেন ওই যুবকরা।
এখন, প্যাকেটজাত মুড়ির ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হচ্ছে। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার ধর্মতলার সভা থেকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'মুড়িতেও জিএসটি। বিজেপির বন্ধুরা মুড়ি খাবেন না। মুড়িতে কত জিএসটি? মিষ্টিতেও জিএসটি, চিড়েতেও ডিএসটি, দইতেও জিএসটি। লস্যিতেও জিএসটি, নকুলদানায় কত জিএসটি? লোকে কী খাবে? খাব কী? মানুষ খাবে কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও। পরিষ্কার কথা, ভাত খেয়ে মুড়ি খেয়ে বেঁচে থাকি। তুমি কোথা থেকে এসেছো।'
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলা বিধানসভাতেও ক্রস ভোট! কার ১টি ভোট পড়ল দ্রৌপদীর পক্ষে?