কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পর পর দুদিন দুটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (electrocution)হয়ে মৃত্যুর (death) ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে (east burdwan)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুটি ঘটনাই গলসি (galsi) থানা এলাকার। 


কী ঘটেছে?


এর মধ্যে বেলান গ্রামের ঘটনায় মারা যান ১ মহিলা (woman)। স্থানীয়দের বক্তব্য, খেতমজুরের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎবাহী তার জড়িয়ে মারা যান তিনি। মৃতের নাম আরতি রুইদাস, বয়স ৫৫ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে জমিতে ধান রোপণের কাজে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। অভিযোগ, কাজ করার সময়ই জমির উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎবাহী তার ছিড়ে পড়লে জড়িয়ে যান আরতী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে আদড়াহাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালেই মারা যান প্রৌঢ়া। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দক্ষিণবঙ্গে এখনও ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেনি বর্ষা। কিন্তু তার মধ্যেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। আরতির ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও অভিযোগ মানতে চাননি বিদ্যুৎ দফতরের বর্ধমান নর্থ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ইমদাদুল মন্ডল। তার ছিড়ে পড়ার কথাও অস্বীকার করেছেন।


মর্মান্তিক ঘটনা আরও


ঘটনাচক্রে এদিনই আবার গলসি থানার খানোমোড় এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান  বিদ্যুৎ দফতরের (electricity department)এক ঠিকাকর্মী।  পুলিশ জেনেছে মৃতের নাম সনৎ বাগদী। তাঁর সঙ্গে কাজ করছিলেন সুমন বাগদী। তিনিও গুরুতর আহত। আশঙ্কাজনক অবস্থায়  বর্ধমান (burdwan)হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়দের বক্তব্য, খানোমোড়ের কাছে মাঠের মধ্যে ১১ হাজার ফিডারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন দুজন। হঠাৎই অঘটন। কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিদ্যুৎবাহী খুঁটির তারে ঝুলে পড়েন তাঁরা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুজনের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাঁদের সহযোগিতায় পুলিশ সনৎ ও সুমনকে উদ্ধার করে পুরষা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা সনৎ বাগদীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন:মহুয়ার কালী-মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপির কালী পুজোর আয়োজন, মোদির খোঁজের পরই শুরু তৎপরতা