কমলকৃষ্ণ দে, আউশগ্রাম : আরজি কর-কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই ফের কাঠগড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার । পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। সে আউসগ্রাম থানায় কর্মরত। আদিবাসী মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম শেখ রহমতুল্লাহ। এর আগেও ওই মহিলাকে উত্যক্ত করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে ।


ঘটনাটা কী ?


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক আদিবাসী গৃহবধূ আউশগ্রাম থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ রহমতুল্লাহের নামে অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে জানান, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাকে উত্ত্যক্ত করত। গতকাল মহিলা যখন বাড়িতে শুয়েছিলেন, সেই সময় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। সে চিৎকার করলে শেখ রহমতুল্লাহ পালিয়ে যায়। আউশগ্রাম থানার পুলিশ তদন্তে নেমে থানারই কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। 


আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনে অভিযুক্ত, সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। হাসপাতালে প্রশিক্ষিত পুলিশকর্মী নিয়োগের দাবি জানান। (RGKarCase)


চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করলে, ডাক্তার, বিশেষত মহিলা ডাক্তাররা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন, প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তিনি বলেন, "এই অপরাধ চুক্তিভিত্তিক কর্মী দ্বারা সংগঠিত হয়েছে। পুলিশ বারাক থাকা সত্ত্বেও ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। এখন আবার চুক্তিভিত্তিক কর্মী ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। তারা গোটা হাসপাতালে কাজ করবে। চিকিৎসক, বিশেষত মহিলা চিকিৎসকরা কীভাবে নিজেদের নিরাপদ মনে করবেন? কর্মশক্তির বড় অংশই তরুণী। তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।"


ভাতারেও গ্রেফতার হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার !


এর আগে গত অগাস্ট মাসে এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। মহিলা চিকিৎসককে তিনি নাকি হুমকি দিয়ে বলেন, 'আরজি কর করে দেব।' ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।


ঘটনাটি ঘটে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার হাসপাতালে যান চিকিৎসা করানোর জন্য। সেই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। অভিযোগ, তিনি চিকিৎসা শুরু করার পরেও ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মহিলা চিকিৎসের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।