কমলকৃষ্ণ দে, মাধবডিহি : বিটুমিনাসের সঙ্গে বর্জ্য ব্যবহার করে অন্ধকার রাস্তায় আলোর ছটা (লাইট রিফ্লেক্টর) । এবার এভাবেই আলোকিত হবে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) মাধবডিহি থানার বড় বৈনানের রাস্তা । ফলে, সুবিধা হবে পথচলতি মানুষের। রাতে তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবেন । জেলা প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বশক্তিকরণ (আইএসজিপি) বিভাগ এই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাস্তা তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে, কয়েক দিনের মধ্যেই ওই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে, মাধবডিহির উচালনের পরে ফের ‘নীল রাস্তা’ তৈরি করল আইএসজিপি। মঙ্গলবার দুপুরে মেমারি ২ নং ব্লকের রায়বাটিতে ওই রাস্তার উদ্বোধন করেন মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শুভলক্ষ্মী বসু বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগানোর জন্যেই এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আইএসজিপির জেলার কো-অর্ডিনেটর রফিকুল ইসলামের জনান, জেলায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ইউনিট ও অন্যান্য জায়গা থেকে রাস্তা তৈরির জন্যে প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়েছে।
আইএসজিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিটুমিনাসের সঙ্গে বর্জ্য প্লাস্টিক মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তার সঙ্গে থার্মো প্লাস্টিকের নীল রং, রাসায়নিক মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।
মেমারি ২ ব্লকের সাতগাছিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়বাটি গ্রামের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিটের কাছে ১৫০ মিটার রাস্তার রং নীল হয়েছে। এর জন্যে মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতি রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশন থেকে ওই রাস্তার জন্যে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে।
এ ধরনের রাস্তায় তাপ-বিকিরণ কম হবে এবং জলে জমে রাস্তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কম। মেমারির রাস্তার জন্যে প্রায় ২৪০ কেজি প্লাস্টিক লেগেছে। আর মাধবডিহির বড় বৈনানে তৈরি হওয়া রাস্তায় প্রায় ৫০ কেজি প্লাস্টিক লাগবে।
আইএসজিপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বড় বৈনানের পশড়া থেকে ঘড়ির ঢাল পর্যন্ত ৬০৫ মিটার রাস্তাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ২৫০ মিটার রাস্তা কালোর বদলে রাস্তা হবে নীল রঙের। বাকি রাস্তা কালো রঙের। তবে ওই রাস্তার উপর বিশেষ বর্জ্য মিশিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ‘লাইট রিফ্লেক্টর’ তৈরি করা হবে। যাতে অন্ধকারেও পথচলতি মানুষজন আলোর ছটা পান। সে জন্যে প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।