রানা দাস, কাটোয়া: সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় তদন্তে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্য়ে বড়সড় সাফল্য পেল কাটোয়া থানার (Katwa Gold Shop Burglary) পুলিশ। ২ মহিলা-সহ ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশের দাবি, উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত 'বদায়ুঁ গ্যাংয়ের' সদস্য ৭ জন।


কী জানা গেল?
দুষ্কৃতীদের থেকে ২৬ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার অলঙ্কার-সহ নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪০ রাউন্ড গুলি,১০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এছাড়া দোকানের শাটার ভাঙার যন্ত্রপাতি, দড়ি ইত্যাদিও উদ্ধার করে পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, এই গ্যাং পূর্ব বর্ধমান-সহ লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলাতেও চুরি করছিল। গ্যাং-সদস্যরা সকলে কাটোয়ার মিলপাড়ায় একটি বাড়িতে কয়েকমাস থেকে ভাড়া ছিল।  দিনের বেলায় ফেরি করার নামে এলাকার বাজার-দোকানে রেইকি চালাত। মহিলারা এই রেইকির কাজে যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের।পেশা হিসেবে কুলপি-সহ কম্বল বিক্রি করত দুষ্কৃতীরা। দিনে ফেরির পর রাতে চুরি করত তারা। শনিবার ধৃত সাতজনকেই  হেফাজতে চেয়ে কাটোয়া আদালতে পেশ করার কথা কাটোয়া থানার পুলিশের।গত অক্টোবরে, সোনারপুরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ছ'দিনের মধ্যে তার কিনারা করে পুলিশ। অস্ত্র-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।  উদ্ধার হয় অলঙ্কার ও নগদ ৩০ হাজার টাকা। গত ১৩ অক্টোবর দোকানে ডাকাতি হয়। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৫ দুষ্কৃতী ও এক স্বর্ণব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


সোনারপুরের ঘটনায়...
গত ১৩ অক্টোবর, পুজোর ঠিক মুখে, ওই সোনার দোকানে  ডাকাতি হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই ডাকাতির কিনারা করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৫ দুষ্কৃতী ও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “আমরা সকলকে ইন্টারোগেশন করেছি। সকলে স্বীকার করেছে। ওরা এক সপ্তাহ আগে রেইকি করেছিল। ওদের একজনের পুরনো রেকর্ডও আছে। প্রাথমিক ভাবে যা তথ্য, তাতে ৬-৭ জন জড়িত ছিল। ৫ জনকে ধরেছি। বাকিদেরও ধরে নেব।’’ রত্নদীপ জুয়েলার্স নামে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় লুঠের ৪০ গ্রাম সোনা, ১০০ গ্রাম রুপো ও নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেলও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ধৃত দুষ্কৃতীদের জেরা করে, চোরাই সোনা কেনার অভিযোগে, কুলতলির মহিষমারি থেকে বিদ্যুৎ নস্কর নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, ডাকাতি সোনারপুরে হলেও, পুরো বারুইপুর পুলিশ জেলা এর পিছনে লেগে ছিল। জয়নগর, আইসি কুলতলিও ছিলেন। সাদা কালো এম ফিফটিন মোটরসাইকেল। রিমটা লাল ছিল। লোকাল সোর্স কাজে লাগিয়ে খোঁজ করে উদ্ধার।


আরও পড়ুন:গুলি-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কালীগঞ্জে ধৃত ১