কমলকৃষ্ণ দে, মেমারি : গভীর রাতে সমবায় ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা । শাটার ভেঙে ব্যাঙ্কে ঢুকে ভল্ট ভাঙার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল চার দুষ্কৃতী । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনকে ধরে পুলিশ। সাহানুই সমবায় ব্যাঙ্কের রসুলপুর শাখার ঘটনা। ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের সময় হাতেনাতে ৫ দুষ্কৃতীকে ধরে মেমারি থানার পুলিশ।


মঙ্গলবার গভীর রাতে মেমারির রসুলপুরে সাহানুই এসকেইউএস সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেয় দুষ্কৃতী দলটি। শাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। ব্যাঙ্কের আধিকারিক মোবাইলে সিসি ক্যামেরার ফিড থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা মেমারি থানায় বিষয়টি জানান। ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙার আগেই মেমারি থানার ওসি দেবাশিস নাগের নেতৃত্বে ব্যাঙ্ক ঘিরে ফেলে পুলিশ।


ব্যাঙ্কের নিচে থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতী পুলিশ দেখে চম্পট দেয়। মেমারি থানার ওসি দেবাশিস নাগের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে দেখে সমবায় ব্যাঙ্কের শাটার অর্ধেক নামানো রয়েছে। ভিতরে কয়েকজন রয়েছে।  পুলিশ প্রথমে দুষ্কৃতীদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বলে। কিন্তু, পুলিশের কথায় কোনও কর্ণপাত না করায় পুলিশ ভিতরে ঢুকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।


বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান জানান, গভীর রাতে সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির জন্য হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতী দলটি। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পাকড়াও করেছে। 


ব্যাঙ্কের আধিকারিক পার্থ দে জানান, কিছু দিন আগে এই এলাকায় গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। তার উপকার পেলেন তাঁরা। চুরি রোধ করা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের কিছু খোওয়া যায়নি।


প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরির বড়সড় চক্রের হদিস মেলে। ব্যাটারি চুরি চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মণিরুল গাজি ওরফে রাজু। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরেই জাতীয় ও রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরির অভিযোগ আসছিল। তার কয়েকদিন আগে রসুলপুরের এক গাড়ি ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে ব্যাটারি খুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।