কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : ব্যাটে-বলে দুইয়েই ছিলেন পারদর্শী। দলকে একের পর এক ম্যাচ জিনিয়েছেন। এহেন ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান এলেন বর্ধমানে। টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে বর্ধমানে হাজির হন ইরফান। যা নিয়ে চরম উন্মাদনা দেখা দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। মাঠে নেমে ব্যাটও করলেন ইরফান।
বর্ধমান শহরের সূর্যনগর মালির মাঠে গত ১২ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজনন্দিনী ক্রিকেট কাপ। এবছর এই টুর্নামেন্টে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করেছে। রবিবার সেই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে বর্ধমানে আসেন ইরফান পাঠান। পরে অলরাউন্ডার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইরফান পাঠান বলেন, একই ব্যক্তি যদি বল ও ব্যাট দু'টোই করতে পারেন সবাই সেটাই তো চাইবেন। তাই অলরাউন্ডারদের চাহিদা আগামী দিনে ক্রমশ বাড়বে।
লাল ও সাদা বল নিয়ে ইরফানের মত, সব বলেই খেলা উচিত। বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইরফান সাফ জানান,তিনি বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্ট দেখেন না।
সার্বিকভাবে টি-২০ থেকে টি-১০ ক্রিকেট ম্যাচ হতে আরও সময় লাগবে বলেই মন্তব্য করেন ইরফান।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে দেবাশিস নন্দী বলেন, মোবাইলে আসক্ত যুব সম্প্রদায়কে মাঠমুখী করতেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এবছর এই টুর্নামেন্ট ১২তম বর্ষে পদার্পণ করল। আগামীদিনে এই টুর্নামেন্টকে ভারতের ১ নং টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করাই আমাদের লক্ষ্য।
চলতি মাসেই বাংলায় আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড। হাওড়ার (Howrah) সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্ল্যাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে। এমন অতিথির আতিথেয়তায় কোনও ত্রুটি রাখলে হয় নাকি। লয়েডের জন্য খাবারের পাতে ছিল নলেন গুড়ের রসগোল্লা, মাখা সন্দেশ, বিরিয়ানি, দু রকমের পাস্তা, ফ্রুটস, ফিশ ফিঙ্গার ও কাবাব। রসগোল্লা দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না কিংবদন্তি। তৃপ্তি করে খেলেন বেশ কয়েকটি রসগোল্লা। প্রশংসা করলেন বাংলার রসনাতৃপ্তির এই অসাধারণ সৃষ্টির।
কলকাতায় এসেছেন লয়েড একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তার ফাঁকেই এদিন স্কুলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সকাল থেকেই কিংবদন্তি তারকাকে দেখতে ভিড় বাড়ছিল স্কুলের মাঠে। লয়েড মাঠে ঢুকতেই সেলফির জন্য, একবার ছুঁয়ে নেওয়ার কাতর আবেদন সবার। এদিনের ফাইনাল খেলায় অংশ নিয়েছিল আয়েদা মিলনী সংঘ একাদশ ও চন্দননগর বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৬২ রান তুলে নেয় আয়েদা মিলনী সংঘ। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১৬৩ রান বোর্ডে তুলে নেয় চন্দননগর স্পোর্টিং ক্লাব।