রাণা দাস, কালনা : কালনায় গুন্ডামির পরও জামিন তৃণমূল নেতার। তৃণমূল নেতা গোপাল তিওয়ারিকে হেফাজতেই চাইল না পুলিশ। জামিনের বিরোধিতাও করলেন না সরকারি আইনজীবী। জামিন যোগ্য ধারায় মামলায় সহজেই জামিন পেলেন শাসক নেতা। এই পরিস্থিতিতে কালনাকাণ্ডে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। Purba Burdwan Kalna News
কালনার দেবনাথ পাড়া এলাকায় একটি জায়গায় পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা, অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনায় এক মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারি ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মারধরের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও সেই ভিডিওতে দুই পক্ষকেই একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানান কালনার দেবনাথ পাড়া এলাকার আক্রান্ত গৃহবধূ।
এনিয়ে গতকাল আক্রান্ত মহিলা বলেছিলেন, 'আমাদের বাড়ির পাশে একটি জমি রয়েছে। সেই জমি ঘিরে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা অশান্তি হয়। গোপাল তিওয়ারি এবং তাঁর দলবল আমার শাশুড়িকে মারধরের পর শনিবার সকালে আমাকে এবং পরিবারের বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন।'
পুরো বিষয়টি নিয়ে থানার দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ। যদিও তৃণমূল নেতা গোপাল তিওয়ারি দাবি করেন, তাঁর কেনা জায়গায় পাঁচিল দিয়েছিলেন। সেই পাঁচিলটিকে ওঁরা (মহিলার পরিবার) ভেঙে দেন। এমনকী তিনি বলতে যাওয়ায় উল্টে তাঁকেই মারধর করা হয়েছে। গ্রেফতারির আগেই গোপাল তিওয়ারি বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি ব্যাঙ্ক থেকে জায়গাটি কিনেছিলেন। সেই জায়গায় পাঁচিল দিতে গেলে এই পরিবার বাধা দেয়।
যদিও অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁদের কোনও কিছু না জানিয়েই ব্যাঙ্ক থেকে ওই জমি কিনে নেন গোপাল তিওয়ারি। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা ওই জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেন। সেনিয়েই বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, দলবল নিয়ে তৃণমূল নেতা চড়াও হন মহিলার বাড়িতে। সন্তানদের সামনেই চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে বেধড়ক মারধর করা হয় মহিলাকে।
এই ঘটনার পর অভিযুক্ত কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও এদিন তাঁর জামিন হয়ে গেল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।