কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : দু'টি স্কুলে চুরির ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে বর্ধমান শহরে। একটি স্কুলের দরজা-জানালা ভেঙে, তো অপর স্কুলেটিতে গ্যাস কাটার দিয়ে তালা কেটে স্কুলে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। তারা প্রধান শিক্ষকের ঘর ও স্টাফরুমে প্রবেশ করেছিল।
গতকাল রাতে বর্ধমান শহরে ৩ নম্বর ইছলাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও ৪ নম্বর ইছলাবাদ বিবেকানন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। ৪ নম্বর ইছলাবাদ বিবেকানন্দ বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা। এছাড়া দু'টি স্কুলেরই সমস্ত নথি তছনছ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ ও বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
৪ নম্বর ইছলাবাদ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, চতুর্থীর দিন থেকে স্কুল বন্ধ ছিল । ১৭ নভেম্বর স্কুল খোলার কথা। তার আগে আজ সকালে এক গ্রুপ ডি কর্মী স্কুলে এসে দেখেন, প্রধান শিক্ষিকার ঘর ও স্টাফরুমের তালা ভাঙা।
ওই গ্রুপ ডি কর্মী বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকাকে জানান। এরপর প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে এসে দেখেন, স্টাফরুম ও তাঁর ঘরের সব আলমারি ভাঙা এবং সমস্ত কিছু তছনছ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের টয়লেট, আসবাবপত্র তৈরির ফান্ডের টাকা ও ফি-এর প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা।
পশ্চিম বর্ধমানে চুরি -
গত মাসের শেষদিকে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর অণ্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ির অন্তর্গত বহুলা মতি বাজার এলাকায়। রানিগঞ্জের বাসিন্দা প্রদীপ বার্নওয়াল পেশায় ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই মতিবাজার এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দোকান রয়েছে তাঁর। প্রতিদিনই রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন তিনি। একইভাবে এক রাতে কাজ শেষে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। পুজোর ভাসান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন গোটা এলাকার মানুষ। ঠিক এই সুযোগই নেয় দুষ্কৃতীরা। ভাসানের ব্যস্ততার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই কংক্রিটের ছাদ ফুটো করে দোকানে ঢোকে চোর বা চোরের দল। দোকান থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকার নগদ নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল, অভিযোগ প্রদীপবাবুর। এর আগে খনি অঞ্চলে বহু চুরির ঘটনা ঘটেছে। কোথাও তালা বন্ধ ঘরে চুরি, আবার কোথাও দেওয়াল কেটে চুরির ঘটনা এর আগে ঘটেছে। তবে এভাবে কংক্রিটের ছাদ ফুটো করে দোকানে ঢুকে চুরির ঘটনা এর আগে ঘটেনি বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ।