ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও কমলকৃষ্ণ দে, কলকাতা : শুক্রবার দুপুরে আচমকা রাজভবনের সামনে দণ্ডি কেটে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নামলেন দুই যুবক। তাঁদের অভিযোগ, বাবা কংগ্রেস করতেন, সেই আক্রোশে তৃণমূল (TMC) তাঁদের রেশন বন্ধ করে দিয়েছে, কেড়ে নিয়েছে চাষাবাদের জমিও। প্রশাসনের কাছে গেলেই সমস্য়ার সমাধান হবে, জানিয়েছেন মেমারির (Memari) তৃণমূল বিধায়ক।


হাতে জাতীয় পতাকা । মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান ! শুক্রবার দুপুরে আচমকা রাজভবনের সামনে দণ্ডি কেটে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নামলেন ২ যুবক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক বৃদ্ধা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির এই বাসিন্দাদের দাবি, বাবা কংগ্রেস করতেন। সেই আক্রোশে তৃণমূল তাঁদের রেশন বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চাষাবাদ। এমনকি, বোনের বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।


বিক্ষোভকারী বলেন, "তৃণমূলের অত্যাচারে এখানে এসেছি। সমস্ত চাষবাস বন্ধ করে দিয়েছে। দুই বছর হয়ে গেল রেশন পাচ্ছি না। রেশন কার্ড কেড়ে নিয়েছে। তৃণমূলে কেড়ে নিয়েছে। কারণ, কংগ্রেস করতেন বাবা। আর এখন বিজেপির কাছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলাম বলে এই অত্যাচার সহ্য করতে শুরু করেছে। পুলিশকে সমস্ত লিখিত দিয়েছি। বাড়ি, পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার হেতমপুর গ্রামে। পুলিশ কোনও অ্যাকশন নেয়নি।"


তবে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মেলেনি, টেনে-হিঁচড়ে তাঁদের সরিয়ে প্রিজন ভ্য়ানে তোলে পুলিশ। আচমকা রাজভবনে দুই ব্যক্তির বিক্ষোভ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


অভিযোগ কলকাতাতেও-


এদিকে সম্প্রতি বিডন স্ট্রিটে বিজেপি (BJP) নেতার বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ানোর জন্য় চাপ দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে মহানগর। শাসক শিবিরে নাম না লেখালে বাড়ির গ্যারাজের সামনে নির্মাণ কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি নেতার কাঠগড়ায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তারক চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে রাজ্যপাল (Governor) ও বড়তলা থানায় (Police Station) ই-মেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা সুনীল সিং।


তাঁর দাবি, রাজ্যপাল বিষয়টি দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর আগে বেআইনি বলে দাবি করে বিডন স্ট্রিটে বিজেপি নেতার বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতার দাবি, মেয়রের সঙ্গে কথা বলে তিনি ফের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, বেআইনি নির্মাণে বাধা দেওয়াতেই মিথ্যা অভিযোগ।