কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: নৌকা চড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন দীঘিতে। কিন্তু ফেরা আর হল না। নৌকাবিহারে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের (Youth Death)। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রাম থানা এলাকার ঘটনা।
জলে ডুবে মৃত্যু হল যুবকের
নৌকা করে দীঘিতে ঘুরতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে মিলল যুবকের মৃতদেহ। মৃতের নাম বরকত আলি মল্লিক। বয়স ৩২।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আউশগ্রাম থানার আলেফ নগর এলাকায়। বরকত আলি মল্লিক কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। তিনি কেরলে থাকেন। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। এখানে এসে বাবার সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে যায় সে। সেখানে দীঘিতে মাছের খাবার দেওয়ার যে নৌকা বাঁধা ছিল তা নিয়েই দীঘির মাঝখানে ঘুরতে যান বরকত। আর তখনই ঘটে যায় এই বিপত্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃত বরকত আলি মল্লিক সাঁতার জানতেন না। দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুজির পর অবশেষে মৃতদেহ উদ্ধার হয় দীঘি থেকে।
অন্যদিকে গতকালের ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbor) ভেসেল দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ দুই শিশুকন্যা। ডুবুরি নামিয়ে সন্ধান চালানোর পাশাপাশি, ড্রোন উড়িয়েও চলছে তল্লাশি। রবিবার ডায়মন্ড জেটিঘাটের কাছে হুগলি নদীতে (Hooghly River) পড়ে যায় ৫ ও ৭ বছরের দুই শিশুকন্যা। রাতেই ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়, এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সিভিল ডিফেন্স। রয়েছেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Burdwan News: বর্ধমানে মর্মান্তিক বাইক দুর্ঘটনা, স্কুল ছাত্রের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়
নিখোঁজ দুই খুদের খোঁজে নামানো হয়েছে ডুবুরি। ড্রোন উড়িয়েও চষে ফেলা হয়েছে ঘটনাস্থল। বোট নিয়ে চলেছে তল্লাশি। তবু খোঁজ মেলেনি দুই শিশুকন্যার।
মাস কয়েক আগে ময়ূরাক্ষী (mayurakshi) নদীতে (river) স্নান করতে গিয়ে একসঙ্গে তলিয়ে (drown) যায় ২ যুবক। সাঁইথিয়া (sainthia) থানার অন্তর্গত দেরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈদ্য়পুর গ্রামের ঘটনা। বিপর্যয়ের খবরে অশনি সঙ্কেত দেখেন গ্রামবাসীরা। সকাল থেকে ডুবুরি নামিয়ে দুজনের তল্লাশি করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
ময়ূরাক্ষীতে দুর্ঘটনার খবর অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেই একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ময়ূরাক্ষীর জলে পড়ে যায়। ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, তখন গভীর রাত। তবে অ্যাম্বুল্যান্সটি খালি থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ফেরার হয়ে যান।