Purba Burdwan News: বর্ধমানে তৃণমূল নেতার বাবাকে খুনের চেষ্টার মামলায় দলেরই নেতা-সহ ১৩ জনের কারাদণ্ড, পরে একজনের অস্থায়ী জামিন

TMC News: ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বর্ধমানে তৃণমূলের তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবার দেবু পালের ওপর হামলা হয়।

Continues below advertisement

কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাবাকে খুনের চেষ্টার মামলায় সাজা শোনাল বর্ধমানের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট। তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতি, যুব সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি-সহ ১৩ জনকেই কারাদণ্ড দিল আদালত। বর্ধমান ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা-কে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও বাকি ১২ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। পরে অবশ্য কাকলির অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে আদালত। বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র তাঁর অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে দাবি কাকলির আইনজীবীর। আজই সাজা ঘোষণা করা হয়। ১২ জনকে শারীরিকভাবে আদালতে পেশ করা হয়। অপর একজন কাকলি গুপ্ত তা অসুস্থ থাকায় তিনি হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

Continues below advertisement

কাকলি গুপ্ত তা-র শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। বাকি যে ১২ জন তৃণমূল নেতা, তাঁদের ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গ কাকলি গুপ্ত তা-র আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "৩৮৯ সিআরপিসি-তে যদি তিন বছর পর্যন্ত কোর্ট কাউকে সাজা দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে সেই কোর্টের পাওয়ার আছে, যদি বেল পিটিশন হয় তাহলে জামিনের অনুমতি দিতে পারে। বিচারক সেই জামিন মঞ্জুর করেছেন। উনি ২০ হাজার টাকার বন্ডে কাকলি গুপ্ত তা-কে অস্থায়ী জামিন দিয়েছেন। এটা অ্য়াপিল পিরিয়ড পর্যন্ত। এই সাজার বিরুদ্ধে আমরা আপার কোর্টে আবেদন করব।"   

কী ঘটনা ?

২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বর্ধমানে তৃণমূলের তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবার দেবু পালের ওপর হামলা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেই ঘটনায়, বর্ধমান এক নম্বর ব্লকে তৃণমূলের সভাপতি ও বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারপার্সন কাকলি গুপ্ত তা, বর্ধমান ১ ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ ও রায়ান ১-এর অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল সহ মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার, ২ জনকে খালাস করে বর্ধমান ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট। কাকলি গুপ্ত তা এবং মানস ভট্টাচার্য সহ ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সোমবার জেলে ফেরার পথে অসুস্থ বোধ করেন তৃণমূলের নেত্রী কাকলি গুপ্ত তা সহ ৩ জন। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্য়ালের জরুরি বিভাগে। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার কথা থাকলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। এদিন সাজা ঘোষণা করে আদালত। 

এদিন আদালত সাজা ঘোষণার পর আক্রান্ত তৃণমূল নেতার ছেলে জীবন পাল বলেন, "বিগত ৮ বছর আগে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আজ ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক রায় দিয়েছেন। কোর্টের রায়ের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। এনিয়ে আমরা আনন্দিত বা উচ্ছ্বসিত নই। তবে, এটুকু বলব আইন সকলের ঊর্ধ্বে। আইনের ঊর্ধ্বে কোনও নেতা, মন্ত্রী বা ব্যক্তি নয়।" 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola