ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : ছানি অপারেশন করতে এসে ঘটল ‘বিপত্তি’, চোখে সংক্রমণ নিয়ে রীতিমতো অবস্থা সঙ্গীন একাধিকের। কয়েকদিন আগে পূর্ব বর্ধমান স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ছানি অপারেশন করানো হয়। বর্ধমান মেডিক্যালে (Burdwan Medical College) ২৮ জনের ছানি অপারেশন করানো হয়েছিল। যার মধ্যে ১১ জনের সমস্যা দেখা দেয়। ১১ জনের চোখে সংক্রমণ হওয়ার জেরে তাঁদের আনা হয় কলকাতায়।


রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোজিতে (Regional Institute of Opthalmology) আনা হয়েছে ১১ জনকে। যাঁদের মধ্যে ৪ জনের চোখে এখনও সংক্রমণ, জানাল আরআইও। ‘উদ্বেগজনক অবস্থায় আনা হয়, এখনও সাড়া মিলছে চিকিৎসায়’, দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে আশাবাদী আরআইও। কেন বিপত্তি? বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে রিপোর্ট এল স্বাস্থ্য দফতরে।


কী জানা যাচ্ছে


স্বাস্থ্য দফতর ও আরআইও সূত্রে খবর, একসঙ্গে ২৮ জনের অপারেশনের পর ১১ জনের চোখে সংক্রমণ দেখা যায়। তাঁদের সকলকে দ্রুত নিয়ে আসা হয় কলকাতার রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোজিতে। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের সংক্রমণ ঠিক হওয়ায় একদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও ৪ জনের চোখে এখনও সংক্রমণ রয়েছে। যদিও তাঁরা ঠিক যে অবস্থায় এসে ভর্তি হয়েছিলেন, তার থেকে এখন তাঁদের অবস্থা অনেকটা ভাল। তাঁদের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কেটে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আরআইও-র চিকিৎসকরা। যদিও তাঁরা এখনও বিপদ্দমুক্ত নয় বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ক্লাস্টার ইনফেকশন বলে। 


ছানি অপারেশনের ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্লাস্টার ইনফেকশন এর আগেও অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ঠিক কী কারণ তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে গোটা বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।


মাসখানেক আগে অন্ধকারে শয্যা থেকে পড়ে যায় শিশু, ঝড়-জলে রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়। তাতে বিপর্যস্ত হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল (Chandrakona Rural Hospital)। রাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সেখানে (Electricity connection)। রাত থেকে অন্ধকারে ডুবে হাসপাতাল। মোবাইলের টর্চ এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে কোনও রকমে জরুরি বিভাগে কাজ চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে জলের সমস্যাও। 


আরও পড়ুন- ‘বালা পরে বসে নেই তৃণমূল কংগ্রেস, হাত খসিয়ে দেওয়া হবে’, বিরোধীদের হুমকি তৃণমূল নেতার