ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরে কেলেঘাই নদীর বাঁধ নির্মাণে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক। গত চারদিন ধরে পটাশরপুর ও ভগবানপুরে কেলেঘাই নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। বিধায়কের অভিযোগ, যেভাবে বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে, তাতে বর্ষার জল আটকাবে না। নদী তীরবর্তী এলাকায় বেআইনি ইটভাটা ও মাছের ভেড়ি থাকায় ফের বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা প্রকাশ করেন ভগবানপুরের বিধায়ক। জ্যোতিষীর মতো ভবিষ্যদ্বাণী করছেন বিজেপি বিধায়ক, কটাক্ষ তৃণমূলের।


কেলেঘাই নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে এই কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর, ভগবানপুর ও চন্ডিপুর বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকা। আজ পটাশপুর বিধানসভা এলাকার তালছিটকিনির বাঁধ সংস্কারের সেই কাজ খতিয়ে দেখলেন ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তাঁর আশঙ্কা, কেলেঘাই নদীর বাঁধ মেরামতির কাজ যেভাবে চলছে তাতে বন্যা আটকানোর কোনও সম্ভবনা নেই। আবার বাঁধ ভাঙবে। আবার বন্যা হবে।


পটাশপুর ও ভগবানপুর এলাকার স্থানীয়দের অভিযোগ, কেলেঘাই নদীর বুকে অবৈধ ইটভাটা ও ফিশারি গজিয়ে ওঠার জন্য কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই উচ্ছেদ না করলে ফেল ফের বন্যা হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। কেলেঘাই নদী সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের। এই বিষয়ে ভগবানপুরের বিজেপির বিধায়ককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পটাশপুর ১ ব্লকের পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ শেক আব্দুল আহাদ আলি। তিনি বলেন, “বিজেপির কোনও কাজ নেই, ভগবানপুরের বিধায়ক তিনি কি জ্যোতিষী! আগাম ভবিষ্যৎবাণী বলে দিচ্ছেন বন্যা হতে পারে। তাহলে কি কোন চক্রান্ত আছে এর মধ্যে? বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেচ দফতর কাজ করছে যাতে আগামী দিনে বন্যাকে যাতে প্রতিরোধ করা যায়।’’ অবৈধ ইটভাটা ফিশারি খুব দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে তাঁর আশ্বাস।


আরও পড়ুন: South 24 Parganas News: ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ কর্মীর রহস্যমৃত্যু, ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা পরিবারের