ঋত্বিক প্রধান, দিঘা (পূর্ব মেদিনীপুর) : একেই বোধহয় বলে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ । একসঙ্গে ১২০ পিস তেলিয়া ভোলা মাছ উঠল দিঘা (Digha) মোহনার বিশ্বেশ্বরী ট্রলারে। একসঙ্গে এত সংখ্যক মাছ পেয়ে খুশি ট্রলার মালিক থেকে শুরু করে সমস্ত মৎস্যজীবী (Fishermen)।


কার ভাগ্য কখন খুলে যায় তা আগাম বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু, ভাগ্য একবার সুপ্রসন্ন হলে আর কে দেখে। করোনা পরিস্থিতিতে 'খরা' কাটিয়ে দিঘা মোহনায় উঠল প্রচুর সংখ্যক তেলিয়া ভোলা মাছ। প্রায় ১২০ পিস। প্রত্যেকটির ওজন ১৫ থেকে ২০ কিলো। এই মাছ ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়ে থাকে। সেই জায়গায় ভুবন বেরার কাঁটায় বিক্রি হচ্ছে একশো কুড়ি পিস তেলিয়া ভোলা মাছ।


মৎস্যজীবীদের কথায়, এই মাছ মূলত মাঝ সমুদ্রে পাওয়া যায়। এর পটকা থেকে তৈরি হয় ক্যাপসুলের খাপ ও পেট থেকে একটি সুতো পাওয়া যায়। যে সুতো অপারেশনের পর সেলাই করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই মাছ মূলত জাপান ও থাইল্যান্ডে রফতানি করা হয়। 


যার ট্রলারে এই মাছ পাওয়া গেছে তিনি বলেন, অনেক মাছ ধরতে গেছি। কিন্তু এই ধরনের মাছ আমার কপাল এই প্রথম। একসঙ্গে এত মাছ পেয়ে খুশি ট্রলার মালিক।


আরও পড়ুন ; দিঘা মোহনায় ধরা পড়ল তেলিয়া ভোলা, দাম ছুঁল প্রায় ১ কোটি


গত বছর অক্টোবর মাসেও দিঘার মোহনায় দেখা মেলে ঝাঁকে ঝাঁকে তেলিয়া ভোলা মাছের। প্রায় ৩০টা তেলিয়া ভোলার মাছের দাম গিয়ে দাঁড়ায় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি। 


মা বাসন্তী নামের ট্রলারে ওঠে এই মাছ। দিঘা মোহনার পাওয়া মাছগুলি এরপর বিক্রি করা হয় 'কলকাতা মেরিন প্রোডাক্ট' (KMP) সংস্থাকে। এই মাছগুলি সাধারণত বিদেশের বাজারে বিক্রি করা হয় এর পটকার জন্য। এর থেকে ক্যাপসুল তৈরি হয়, সেই সঙ্গে অস্ত্রোপচারের সময় যে সুতো ব্যবহার করা হয় সেটি তৈরিতেও এই মাছের পটকা ব্যবহৃত হয় বলে দাবি কোম্পানির এক কর্মীর। সেই কারণেই তাঁদের ধারণা এই মাছগুলি এত চড়া দামে বিক্রি করা হয়। আপাতত এগুলি কলকাতার বাজারে পাঠানো হবে।