ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কিংবদন্তি গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্য়ায়ের (Sandhya Mukhopadhyay) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনও তিনি সঙ্কটমুক্ত নন। তিনি জানা যাচ্ছে, গতকাল তাঁর শারীরিক অবস্থ যেমন ছিল, আজ তাতে তেমন কোনও হেরফের হয়নি। ফলে গীতশ্রী বিপদমুক্ত কিনা তা এখনও জানাতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী আরও ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে তাঁরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন না। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পরই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেনারেল বেডেই রয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কোভিডের সংক্রমণের কারণে আইসোলেশনে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গীতশ্রীর হৃদরোগের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নেফ্রোলজির বিশেষজ্ঞরাও তাঁর কিডনির পরিস্থিতি সঠিক রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন। করোনা সংক্রমণের সপ্তম দিন কাটলে চিকিৎসকরা কিছুটা চিন্তামুক্ত হবেন। পাশাপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েকদিন আগে পড়ে যাওয়ার ফলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কোমরে যে চোট লেগেছিল, তা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনায় বসবেন তাঁরা। আপাতত ওষুধ দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন - Mithya: ছেলের পর এবার বলিউডে আত্মপ্রকাশ ভাগ্যশ্রী কন্যার, দেখেছেন তাঁকে?
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, এখনও লিভারে এনজাইম বেশি আছে। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও কিছুটা কম। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। তাঁর হৃদযন্ত্রে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে গতকাল ছোট মাত্রায় হার্ট ফেলিওর হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। পড়ে গিয়ে কোমরে যে আঘাত পেয়েছেন, তার জন্য দেখছেন অর্থোপেডিক সার্জন। তাঁর 'পদ্ম' সম্মান প্রত্যাখ্যানকে ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে অ্যাপোলোতে সরানো হয় গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (Sandhya Mukhopadhyay)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গ্রিন করিডর গড়ে বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।শিল্পীকে এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, শিল্পীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ (COVID Report)। এসএসকেএম-এ সব ব্যবস্থা থাকলেও, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের যেহেতু হার্ট ফেলিওর হয়েছে, কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। তাই শিল্পীকে অ্যাপোলোতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।