ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘার মোহনায় দেখা মিলল ঝাঁকে ঝাঁকে তেলিয়া ভোলা মাছের। প্রায় ৩০টা তেলিয়া ভোলার মাছের দাম গিয়ে দাঁড়াল ১ কোটি টাকার কাছাকাছি।
মা বাসন্তী নামের ট্রলারে উঠল এই মাছ। দিঘা মোহনার পাওয়া মাছগুলি এরপর বিক্রি করা হয় 'কলকাতা মেরিন প্রোডাক্ট' (KMP) সংস্থাকে। প্রত্যেক কেজি মাছের দাম ১২ হাজার ৬১০ টাকা। এই মাছগুলি সাধারণত বিদেশের বাজারে বিক্রি করা হয় এর পটকার জন্য। এর থেকে ক্যাপসুল তৈরি হয়, সেই সঙ্গে অস্ত্রোপচারের সময় যে সুতো ব্যবহার করা হয় সেটি তৈরিতেও এই মাছের পটকা ব্যবহৃত হয় বলে দাবি কোম্পানির এক কর্মীর। সেই কারণেই তাঁদের ধারণা এই মাছগুলি এত চড়া দামে বিক্রি করা হয়। আপাতত এগুলি কলকাতার বাজারে পাঠানো হবে।
দিন দুই আগেই, সুন্দরবনের নদী, খাঁড়িতে জাল পেতে মাছ ধরার সময় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে একটি বিশালাকার তেলিয়া ভোলা মাছ। মাছটির ওজন ৭৮ কেজি ৪০০ গ্রাম। শুক্রবার গোসাবার সোনাগাঁ থেকে পাঁচ সদস্যের মৎস্যজীবীদের একটি দল বিকাশ বর্মণের নেতৃত্বে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। শুক্রবার বিকালে জাল পেতে যখন তারা মাছ ধরছিলেন ঠিক তখন এই বিশালাকার মাছটি তাঁদের জালে পড়ে। সবাই মিলে তড়িঘড়ি মাছটিকে নৌকায় তোলে। শনিবার সন্ধ্যায় মাছটিকে ক্যানিংয়ে মাছের আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন মৎস্যজীবীরা।
সুন্দরবনের নদী, খাঁড়িতে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন বিকাশ। ভাই বাবুল বর্মণ, ভাইপো সৈকত সহ মোট পাঁচজন শুক্রবার সোনাগাঁ থেকে মাছ ধরার জন্য রওনা দেন। মাঝে মধ্যেই চার পাঁচদিনের জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী, খাঁড়িতে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েন বিকাশ সৈকতরা। কিন্তু এত বড় মাছ এর আগে কখনো জালে পড়েনি। শনিবার সন্ধ্যায় ক্যানিং মাছ আড়তে শুরু হয় মাছটির নিলাম। সাড়ে ষোল হাজার টাকা কেজি প্রতি দাম শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয় মোট ৩৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬০৫ টাকায়। আড়তদারদের দাবি এত বড় তেলিয়া ভোলা এর আগে ক্যানিং বাজারে আসেনি। চল্লিশ, পঞ্চাশ কেজির মাছ আগে এলেও এত বড় মাছ আগে দেখিনি।