পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথিতে দলীয় সভার আগে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ওই জেলাতেই মারিশদার গ্রামে গেলেন তিনি। খোঁজ নিলেন গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে। বাড়ি-রাস্তা কেমন রয়েছে, নিজে ঘুরে দেখলেন সব। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মেলে কিনা। সেটারও খোঁজ নিলেন তিনি। অভিষেককে কাছে পেয়ে ক্ষোভের ঝুলি উপুড় করেছেন বাসিন্দারা। তা শুনে পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আর এরপরেই গোটা ঘটনায় কটাক্ষ ছুড়ে দিল বিজেপি।
বিজেপির কটাক্ষ:
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, 'সাংসদ রয়েছেন ১৩ বছর, এতদিন পর কেন মানুষের বাড়িতে? ১২ বছর পর সরকারের মনে হল মানুষ কিছু পায়নি! যখন জঙ্গলমহলের লোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে বলছে কিছু মেলেনি। তখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। অনেক দেরি হয়ে গেছে, এখন আর এসব করে লাভ নেই।'
কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'কয়েকদিন আগে ওর পিসি নাটক করেছিল। এবার মারিশদায় গিয়ে উনি নাটক করলেন।'
পাল্টা তোপ তৃণমূলের:
তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মমতা চিরকালই মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখেন। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতারা সব জায়গায় যান। অভিষেকও গিয়েছেন। অভিষেক কী করেন, সেটা ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে দেখা যায়। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ এ রাজ্যে কারও বাড়ি গেলে কী হয়?'
মারিশদার গ্রামে অভিষেক:
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে, কাঁথির সভার আগে হঠাৎই মারিশদার গ্রামে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে দেখেই অভিযোগের ঝুলি খুলে বসেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির অবস্থা, রাস্তার অবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, 'আপনার কী অসুবিধে হচ্ছে, বাড়ি ঠিকমতো হয়নি কেন?' তা শুনেই এক বাসিন্দা বলেন, 'না আমরা পাইনি।' ফের অভিষেক জিজ্ঞাসা করেন, 'বাড়ি পাননি?' তখন ওই বাসিন্দা বলেন, 'না। ওটা হচ্ছে আমার বাবার বাড়ি। বাড়িটা দেখুন স্যর, কী অবস্থা!' তা দেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন, 'এখানে আপনি থাকেন?' তখন ওই বাসিন্দা বলেন, 'আমার বাবা আর আমি। এখানে আমাদের হয়রানি করছে।' তারপর সেই গ্রামের পানীয় জল, রাস্তার পরিস্থিতিও ঘুরে দেখেন তিনি। কী কী সমস্যা হয়েছে? সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মেলে কি না তা নিয়েও খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: 'কী অসুবিধা হচ্ছে?' গ্রামে গিয়ে খোঁজ অভিষেকের, শুনলেন একরাশ অভিযোগ