বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের বিরোধীশূন্য করার ডাক। আবার অভিযোগের তির তৃণমূল (TMC) বিধায়কের দিকে। বিরোধীদের একটা আসন ছাড়া হবে না। তার জন্য যা যা করতে হয় তাই করতে হবে। এভাবেই এবার পঞ্চায়েত ভোট বিরোধীশূন্য করার ডাক দিলেন মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। বিরোধীদের দাবি হুমকি দিয়েছেন বিধায়ক। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক।  কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে, সাফাই বিধায়কের। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ফের বিরোধীশূন্যের ডাক। ডোমজুড়ের কল্যাণ ঘোষের পর এবার বিরোধীশূন্য করার ডাক মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর। 

কী বলেছেন বিধায়ক:মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তিলক চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে ইটামগরা দুই অঞ্চলের একটা বিরোধীদেরকে একটা আসন ছাড়ব না। তার জন্য যা যা করতে হয় তাই করব।' রবিবার মহিষাদলে নিজের অফিসে, ইটামগরা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। সেখানেই আগামী পঞ্চায়েত ভোট বিরোধীশূন্যের ডাক দেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে সেই ভিডিও পোস্ট করেন তিলক চক্রবর্তী। তবে বিতর্ক শুরু হতেই ভিডিওটি ডিলিট করে দেন তিনি। তাতেও বিতর্ক থামেনি। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি ওই বার্তা দিয়েছেন। তিলক চক্রবর্তী বলেন, 'ইটামগরা কর্মীদের নিয়ে বসেছিলাম, কাজের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল, যাতে সেটা মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে, সেটাই তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, ওখানে বিরোধীদের সিট একটাই ছিল, সেটা আমাদের সাংগঠনিক ভুলের জন্যই ছিল।'

বিরোধীদের কটাক্ষ:তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'তৃণমূলের এই স্বপ্ন কখনও সফল হবে না, ইটামগরা দুই পঞ্চায়েতে সাফ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ জবাব দেবে।' পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএমের (CPIM) জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শান্তনু দাসও বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এরাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের  প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ফলে এবার পঞ্চায়েত ভোটের একবছর আগে, তৃণমূল নেতাদের বিরোধী-শূন্য ডাক ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

আরও পড়ুন: স্কুলের মাঠে আসর, হাজতে হুঁশ ফিরল মদ্যপ শিক্ষকের