বিটন চক্রবর্তী, মহিষাদল : ব্লকের উন্নয়নমূলক বৈঠকে ডাকা হয়নি তমলুকের তৃণমূল সাংসদকে (Tamluk TMC MP)। তাই বৈঠকে যোগই দিলেন না বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু।
সোমবার বিকেলে মহিষাদল (Mahishadal) ব্লকের উন্নয়নমূলক বৈঠকে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তীকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, আমন্ত্রণ পাননি স্থানীয় তমলুক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Tamluk MP Dibyendu Adhikari)। আর এরই প্রতিবাদে বৈঠকে যোগ দিলেন না বিজেপির চার প্রধান। সোমবার মহিষাদল ব্লকের অডিটোরিয়ামে ব্লক উন্নয়নমূলক ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে স্থানীয় বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রধানদের ডাকা হয়েছিল। শুধু সাংসদকে না ডাকায় এদিন বৈঠকে যোগ দেননি বিজেপি পরিচালিত কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
এ প্রসঙ্গে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, 'ব্লক উন্নয়নের বৈঠকে কাকে কাকে ডাকা হবে তা ঠিক করেন বিডিও। সেখানে আমার কী বলার আছে ? তাছাড়া সাংসদকে এলাকার উন্নয়নে দেখা যায় না। তৃণমূলের সাংসদ, ওঁদের এত জ্বালা কীসের ? এলাকার উন্নয়ন দেখে সহ্য করতে পারছেন না, তাই এই ধরনের মন্তব্য করছেন।'
মহিষাদলের বিডিও বরুণাশিস সরকার বলেন, 'পঞ্চায়েত সমিতি মনে করেছে যাঁদের ডাকার তাঁদের ডেকেছে। আমি নতুন এসেছি। পুরো ব্যাপারটা জানা নেই। তবে, সকলকে নিয়ে বৈঠক করলে ভাল হত। এদিন ওদের চারজন প্রধান এসেছিলেন। তাঁদের দলীয় কর্মসূচি থাকায় বৈঠকে যোগদান না করে চলে গিয়েছেন।'
২০১৯-এর ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন অধিকারী বাড়ির মেজ ছেলে শুভেন্দু অধিকারী। কয়েকদিন পরে তাঁর ছোট ভাই ও কাঁথির প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌম্যেন্দু অধিকারীও আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া ব্রিগেডে নাম লেখান। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অমিত শাহর সভামঞ্চে দেখা যায় কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। কিন্তু তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে যেমন দেখা যায়নি, তেমনই সাম্প্রতিককালে তৃণমূলেরও কর্মসূচিতে থাকেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বেড়েছে কাঁথির অধিকারী পরিবারের। একাধিক ইস্যুতে বিরোধী দলনেতা যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি, তেমনি সময়ে সময়ে পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বও। সেই ধারা বজায় রয়েছে।