বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ (Police) ও পরিবারের (Family) পরস্পরবিরোধী দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশের দাবি, ট্রেন লাইনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় মালগাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন যুবক। পাল্টা পরিবারের দাবি, তাঁকে মারধর করে লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলের।


সিভিক ভলান্টিয়ারের আহত হওয়ার কারণ ঘিরে দ্বন্দ্ব


আহত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে দানা বাঁধল রহস্য। কীভাবে তিনি আহত হয়েছেন, তা নিয়ে উঠেছে পরস্পরবিরোধী দাবি। পুলিশের দাবি, হেডফোন নিয়ে লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় মালগাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। উল্টোদিকে পরিবারের অভিযোগ, মারধর করে লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে যুবককে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এতটাই আহত যে তিনি কথা বলতে পারছেন না। সেই কারণে ঠিক কীভাবে তিনি আহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছে না। 


বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। পুলিশ সূত্রে দাবি, রাতে সতীশ সামন্ত হল্ট স্টেশনের কাছে ডিউটিতে ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার তরুণ মাইতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। রাত ১টা নাগাদ সঙ্গী সিভিক ভলান্টিয়ার থানায় ফোন করে জানান, হেডফোন লাগিয়ে লাইনের ওপর দিয়ে  যাওয়ার সময় তরুণকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়ি। তরুণের সঙ্গী সিভিক ভলান্টিয়ার সে সময় কিছুটা দূরে ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 


রাতেই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতকে। যদিও আহত সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের দাবি, ট্রেন দুর্ঘটনায় নয়, মারধরের কারণে আহত হয়েছেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, গলায় ও পিঠের নীচে একাধিক জায়গায় যেরকম আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তা দুর্ঘটনা নয়, মারধরের কারণে হয়ে থাকতে পারে। 


আহত ব্যক্তির দিদি শুক্লা কুইলা বলেন, 'যেভাবে পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তাতে মনে হয় কেউ মারধর করেছে। ভাই তো হেডফোন ব্যবহার করত না।'


আহতের স্ত্রী টুম্পা জানা মাইতি বলেন, 'কাল রাতে বাড়িতে থানা থেকে ফোন আসে।  থানা থেকে বলেছে ট্রেন দুর্ঘটনা। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না। মনে হয় কেউ মারধর করে ফেলে দিয়েছে।'


আরও পড়ুন: Murshidabad: খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের দোকান চিহ্নিত করলেন সুশান্ত, আরও ২ দিন পুলিশি হেফাজতে


যদিও জেলার পুলিশ সুপারের দাবি, প্রাথমক তদন্তে জানা গেছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোন ও হেডফোন উদ্ধার হয়েছে। পরিবার কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে দেখা হবে।