বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া: বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াল হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। পাঁশকুড়ার কাছে রেললাইনের পাতের উপর ফাটল ছিল। তার ফলে লাইনের মাঝখান থেকে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের চোখে পড়ে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে রেলকে খবর দেন তাঁরা। লাইনের উপর ভিড় জড় হয়ে যায়। তাতেই দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা ট্রেন থেমে যায়।


সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ নীলকুণ্ঠিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় রাজগোদা এবং রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের মাঝামাঝি পাঁশকুড়া-হলদিয়া রেললাইনে এই ফাটল ধরা পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুপুরে ওই লাইন দিয়ে একটি মালগাড়ি চলে যায়। তারপরেই লাইনে বিকট শব্দ শোনা যায়। তাতে লাইনের কাছে ছুটে যান স্থানীয়রা। সেখানে দেখা যায়, মাঝখান থেকে ফাটল ধরায় লাইনের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: Birbhum News: ক্রেতার দেখা নেই, শুধু ঋণের বোঝাই বাড়ছে, বোলপুরের কর্মতীর্থ হাটে মাছি তাড়াচ্ছেন মহিলারা


এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিপদ আঁচ করে লাইনের উপরই জমায়েত করে দাঁড়িয়ে পড়েন সকলে। অন্য দিকে ফোন কের খবর দেওয়া হয় রেলকে। সেই সময় ওই লাইন ধরেই এগিয়ে আসছিল হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ভিড় দেখে ট্রেন থেমে যায়।


খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে হাজির হন রেলের কর্মীরা। অস্থায়ী পাত বসিয়ে প্রথমে ট্রেনটিকে নিরাপদে বার করে দেওয়া হয়। তার পর শুরু হয় মেরামতির কাজ।


তবে এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের প্রশংসা করেছেন রেলকর্মীরা। তাঁদের মতে, উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন স্থানীয়রা। সময় থাকতে ফোন না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। মেরামতির লক এসে  না পৌঁছনো পর্যন্ত যে ভাবে জমায়েত করে ছিলেন সকলে, তারও প্রশংসা করেন রেলকর্মীরা।  


তবে মালগাড়ির ওজনেই লাইনে ফাটল ধরেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় লাইনে আর কোথাও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা-ও এ দিন পর্যবেক্ষণ করে দেখেন রেলকর্মীরা।