ঋত্বিক প্রধান, এগরা (পূর্ব মেদিনীপুর) : এতদিন দাবদাহের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিলেন মানুষ। শেষমেশ নামল স্বস্তির ঝড়-বৃষ্টি (Storm and Rain)। কিন্তু, অস্বস্তি বাড়ল চাষিদের। গতকালের ঝড়-বৃষ্টিতে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। এই চিত্র পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Burdwan) জেলার এগরা (Egra) ১ নম্বর ব্লকের।
ধান চাষিরা জানান, গতকাল রাতে যেভাবে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। মাঠ থেকে ধান একদমই তোলা যাবে না। মাঠের ধান মাঠে থেকে যাবে। গাছ কাটতে গেলে ধান সব ঝরে পড়বে। কিছু কাটা ধানে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। কীভাবে এই ধান উদ্ধার করা যাবে, সেই নিয়ে চিন্তা রয়েছে। এক বিঘা জমির ধান চাষ করতে ১৫-১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। কী করে খরচ তোলা যাবে, ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা। ধান চাষ করে সংসার চলে। এই পরিস্থিতি হলে কী করে সংসার চলবে তাঁদের ?
আরও পড়ুন ; প্রতীক্ষার অবসান, আজ থেকেই রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
এগরা ১ ব্লকের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রসরাজ দাস অধিকারী জানান, কয়েক দিন ধরে আবহাওয়ার রিপোর্ট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে দেখে প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়েছিল এগরা ১ নং ব্লক অফিসে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটির আলোচনা হয়েছিল। চাষের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সঠিক তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সেই রকম খারাপ পরিস্থিতি হয়, তা হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এদিকে, শনিবার পুরুলিয়াবাসীকে সাময়িক স্বস্তি দিল কালবৈশাখী। প্রথমে ধুলো-ঝড়, পরে বৃষ্টিতে ভিজল এলাকা। শুক্রবারের পর শনিবারও ঝড়-বৃষ্টি হল বাঁকুড়ায়। ঝড়ের দাপটে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে ভেঙে পড়ে বেশ কিছু গাছ। বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, পুবালি হাওয়ার দাপটে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। তার ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে।