বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া : দলবিরোধী কাজের অভিযোগে পাঁশকুড়ার (Panskura) বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ চার নেতাকে বহিষ্কার করল বিজেপি। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন সৌমেন মহাপাত্র (Soumen Mahapatra)।


শুভেন্দুর খাসতালুকে অস্বস্তি-


একদিকে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ২ নেতা। আর অন্যদিকে এক বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ চার নেতাকে বহিষ্কার করল দলই ! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুকে, বিজেপির অস্বস্তি ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে।


গত ২৫ অগাস্ট পাঁশকুড়ায় বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে আক্রান্ত হয়েছিলেন দলেরই কয়েকজন নেতা-কর্মী। হামলার অভিযোগ উঠেছিল, দলের তৎকালীন কাউন্সিলর সিন্টু সেনাপতি-সহ সাত নেতার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পাঁশকুড়া পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়েছে। আর সেই ঘটনায় প্রায় দু’মাস পর চার নেতাকে বহিষ্কার করল বিজেপি। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে- পাঁশকুড়ার বিদায়ী কাউন্সিলর সিন্টু সেনাপতি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার কনভেনার প্রতীক পাখিরা, তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য উত্তম সেনা এবং প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি কৌশিক জানাকে।


এনিয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আমাদের মারধর করা হয়েছিল। বিষয়টা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাই। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।


বিজেপির নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে দলেরই চার নেতাকে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, এটা বিজেপির আদি ও নব্যর লড়াই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রবল, তা আরও একবার প্রমাণিত হল।


এদিকে বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর সিন্টু সেনাপতি জানিয়েছেন, বহিষ্কারের কোনও চিঠি তিনি পাননি। 


কোনও মন্তব্য করতে চাননি আরেক বহিষ্কৃত নেতা প্রতীক পাখিরা।


উত্তম সেনা ও কৌশিক জানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোন সুইচড অফ ছিল।


আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রশাসন সূত্রে এখনও পর্যন্ত তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। তার প্রস্তুতিও ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নন্দীগ্রামে (Nandigram) দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেন দুই বিজেপি নেতা। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয়দেব দাস এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য বটকৃষ্ণ দাস।


আরও পড়ুন ; পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দু-গড়ে বিজেপির ধাক্কা, ইস্তফা দুই নেতার