বিটন চক্রবর্তী, সুতাহাটা : ভাঙাচোরা বাড়িতে বসবাস। পাকা বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন আবাস যোজনায়। অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ৭৮ জনের নাম। জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


ভাঙাচোরা একচিলতে বাড়ি। সর্বত্র দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। দেওয়াল জোড়া ফাটল। অভাবে বেআব্রু গোটা সংসার। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে এমনই ৭৮ জন বাসিন্দার নাম বাতিল হয়েছে সরকারি আবাস যোজনা থেকে। 


বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে বাড়িটা। আবাস যোজনায় বাড়ি না পেলে কোথায় যাবেন তাঁরা ? ইতিমধ্যেই এই বাসিন্দাদের একাংশ সুতাহাটার বিডিও ও জেলাশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। 


আরও পড়ুন ; "বহিরাগত চেয়ারম্যান চাই না", কাকে উদ্দেশ্য করে পোস্টার পড়ল বিষ্ণুপুরে ?


পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তাঁরা পাওযার যোগ্য হন, সত্যিই পাবেন। আবাস যোজনা উপভোক্তার একটা তালিকা আছে। সেই তালিকা অনুযায়ী হচ্ছে। তাতে যাঁদের নাম আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।


এদিকে যোগ্যরা কেন আবাস যোজনায় বঞ্চিত হলেন ? এই প্রশ্নে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। নিজেদের মধ্যে দলাদলিতে এর নাম বাদ দিচ্ছে ওর নাম বাদ দিচ্ছে, এর ফলে আসল প্রাপকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রশাসনিক ভাবে এর তদন্ত করা উচিত।


জয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতা শেখ সিরাজ আলি বলেন, এটা বিজেপির ভ্রান্ত ধারণা, তৃণমূলের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। 


রাজনৈতিক তরজা চলছেই। কিন্তু, এসবের মধ্যে প্রশ্ন একটাই, ভাঙাচোরা বাড়িতে থাকা মানুষগুলোর মাথার ওপর পাকা ছাদ কবে তৈরি হবে ?