নন্দীগ্রাম: বহিরাগতদের আনার অভিযোগে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে তুলকালাম (Cooperative Election)। তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP) কর্মীদের মধ্যে বচসা। তার জেরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’পক্ষই পরস্পরে দিকে আঙুল তুলেছে। 


নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে বহিরাগত ঢোকানোর অভিযোগ


নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ৬টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি এবং তৃণমূল। ছয় আসনেই প্রার্থী গিয়েছে দুই দল। কন্তু এ দিন নির্বাচন চলাকালীন দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বহিরাগতদের আনার অভিযোগ তোলে। 


তাকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, তা অনুযায়ী, নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি বিজেপি-র দখলে গিয়েছে। একটি আসন গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।


আরও পড়ুন: Nandigram BJP Wins: বিজেপির দখলে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি, ১ আসন তৃণমূলের ঝুলিতে


সকাল থেকে নজরে ছিল এই ভেকুটিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন। কারণ এখানকারই বিধায়ক বিজেপি বিধায় তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই সমবায় সমিতির নির্বাচনে হটস্পট হয়ে ওঠে ভেকুটিয়া। 


আবার সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে বিগত কয়েক দিনে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া এবং নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের বিবাদও বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। ফলে ফলে আলাদা আলাদা মনোনয়নপত্র জমা দেয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। 


সমবায় নির্বাচন ঘিরে অস্বস্তি ছিল তৃণমূলের অন্দরেই


২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই নির্বাচনী রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়ে এই নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে নাম লেখান শুভেন্দু। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


ভোটের ফলাফল শুভেন্দুর পক্ষে গেলেও, নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মামলা ঝুলছে আদালতে। সেই আবহেই সমবায় নির্বাচন ঘিরেও টানটান উত্তেজনা ছিল। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল জায়গায় জায়গায়।


তার পরও যদিও গন্ডগোল এড়ানো যায়নি।   বিজেপি-র দাবি, স্বচ্ছ নির্বাচন হলে নন্দীগ্রামে খাতাই খুলতে পারত না তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির আবার জানিয়েছে, বিজেপি-র বোর্ড গঠনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।