নন্দকুমার : যে কোনওভাবে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের হয় ভয় দেখিয়ে বা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে দলবদল করানোর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে (Panchayat) । এবার বোর্ড গঠনের আগে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠল। পুরনো মামলায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সিপিএমের (CPIM) জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারের পর এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রেফতারির প্রতিবাদে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করিয়েছে।


বোর্ড গঠনের আগে সিপিএমের এই জয়ী সদস্যকে অঞ্চল অফিসের ভেতর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় নন্দকুমারের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানে আজ বোর্ড গঠনের কথা ছিল। সিপিএমের জয়ী সদস্য শেখ জব্বর যখন বোর্ড গঠনের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেতরে আসেন, পুলিশ তাঁকে একটি পুরনো মামলায় গ্রেফতার করে বলে নন্দকুমার থানা সূত্রে খবর। এই জব্বরের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফেরার ছিলেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে পুলিশের একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।


পুলিশের বক্তব্য, যারা গাড়ি ভাঙচুর করেছিল, তাদের মধ্যে চার জনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। একাধিক বাইকও ভাঙচু করা হয়েছে। পুলিশের আরও বক্তব্য, এখানে বিশৃঙ্খল পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এলাকার প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। চলছে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া।


বোর্ড গঠন ঘিরে প্রায় একইরকম চিত্র !


একইভাবে বোর্ড গঠন ঘিরে প্রায় একই রকম চিত্র দেখা যায় পুরুলিয়ায়। বোর্ড গঠনের কথা ছিল বিরোধীদের! কিন্তু দলবদল আর সমর্থনের গেরোয় বদলে গেল সমীকরণ! ১১টির মধ্য়ে ৩টি আসন পেয়ে পুরুলিয়ার ঝালদায় বোর্ড গঠন করল তৃণমূল (TMC)! এদিকে ৫ টা আসন পেয়েও বোর্ড গঠন করতে পারল না কংগ্রেস। এনিয়ে কংগ্রেস (Congress) নেতার গলায় ঝরে পড়েছে ক্ষোভ।


সংখ্য়াগরিষ্ঠতা ছিল না। তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল তৃণমূল! ১১টির মধ্য়ে ৩টি আসন পেয়েও পুরুলিয়ার ঝালদায় বোর্ড গঠন করল শাসক দল! ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের মাড়ুমসিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের, ১১ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জেতে ৫টিতে। তৃণমূল পায় ৩টি আসন। নির্দলের ঝুলিতে যায় ২টি ও অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন পায় ১টি আসন। সম্প্রতি ২ নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে, কংগ্রেস ও তৃণমূল ২ পক্ষের হাতে থাকে ৫-৫। এরইমধ্য়ে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন তৃণমূলকে সমর্থন করে। ফলে, বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। আর প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন, তৃণমূলে যোগদানকারী নির্দল প্রার্থী উর্মিলা নায়েক।