তমলুক : বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (BJP Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে তমলুকে (Tamluk) তৃণমূল প্রধানকে মারধরের ঘটনায় খুনের চেষ্টার মামলা রুজু। ঘটনায় ৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে তমলুক থানার পুলিশ। যদিও বিজেপির জেলা সহ সভাপতি আশিস মণ্ডলের দাবি, তাঁদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল প্রধান। 


কিল, চড়-ঘুষি, ঘিরে মারধর ! মাটিতে ফেলে লাথি, মুখে ঘুষি, মাথায় লাঠির বাড়ি ! গতকাল তমলুক টোল প্লাজায় এভাবেই মারধর করা হয় তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব মেদিনীপুরের রঘুনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে।


আরও পড়ুন ; "পাওনা আছে, নিশ্চয়ই মার খেতে এসেছিল", তমলুকের ঘটনায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমর্থন দিলীপের


ঘটনার বিবরণ-


মঙ্গলবার সকালে নবান্ন অভিযানে আসার পথে তমলুক টোল প্লাজায় আটকানো হয় হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে। ময়না থেকে আসা বিজেপি নেতা-কর্মীদের গাড়িও আটকানো হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিজেপি। সেই বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান তারক জানাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছিড়ে ফেলা হয় তৃণমূলের ফ্লেক্স-হোর্ডিং।


তারক জানা বলেন, তমলুক টোলপ্লাজায় মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার লাগিয়েছিলাম। সেগুলো ছিঁড়ছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখন বাধা দিই। পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। সিসি টিভির ফুটেজও আছে। সেইসময় একটা ছেলে বলল, এই তুমি দাঁড়াও দাঁড়াও। তখনই অতর্কিতে হামলা চালানো হয়।


পরে পুলিশ গিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে লাঠি উঁচিয়ে, তাড়া করে বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে দেয়। দলের প্রহৃত নেতাকে দেখতে রাতে হাসপাতালে যান দুই মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, মানস ভুঁইঞা ও তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।


এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলীয় কর্ম-সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, "পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নেতা ওখানে এল কী করে ? নিশ্চয়ই মার খেতে এসেছে । পাওনা আছে। যদি এসে থাকে ভাল করে দেওয়া উচিত। হাসপাতালে ছেড়ে তাঁর ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করে এখানে আসবে আমাদের কর্মীদের। এই ধরনের শয়তানরা, সমাজবিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গের এই বদনামের জন্য দায়ী।"


প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে নেমে বাঁকুড়ায় প্রস্তুতি সভা করেন দিলীপ। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, "এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। শুকাবেন না, ঘরের মধ্যে রাখুন। চাঁচবেন না, গাঁট বেরিয়ে থাকে যেন। মারলে গায়ে দাগ থাকবে।"