আবির দত্ত ও ঋত্বিক প্রধান, কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ-র জালে আরও একজন। ভুবনেশ্বর থেকে একজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)।  ওড়িশা (Odisa) থেকে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর নাম রতন প্রামাণিক। এনআইএ-র দাবি ঘটনার সময় বোম বানাচ্ছিলেন রতন। এই নিয়ে খেজুরি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Khejuri Blast) গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল চার। সূত্রের খবর, ভুবনেশ্বর (Bhuwaneswar) থেকে ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে (Transit Remand) সোমবার আনা হবে কলকাতায়। 


কোন ঘটনায় গ্রেফতার: 
৩ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি কেঁপে উঠেছিল বিস্ফোরণ। খেজুরির জনকা গ্রামে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। ওই ঘটনায় তদন্ত যায় এনআইএ-র হাতে। সম্প্রতি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। আদালতে এনআইএ-র তরফে দাবি করা হয়েছিল পুরভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতে, খেজুরিতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, প্রায় একসপ্তাহ ধরে খেজুরির জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের বাড়িতে বোমা তৈরি হচ্ছিল। ঘরের মধ্যে মজুত ছিল আরও বোমা। তৃণমূল প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডল, দুই তৃণমূল কর্মী শেখ আরিফুল্লা ও শাহিদুল আলি বোমা মজুতের কথা জানতেন বলে এনআইএ-র দাবি। কে, কী কারণে বোমা বানাতে নির্দেশ দিয়েছিল, তার খোঁজ করছে এনআইএ। ৩ জানুয়ারি খেজুরির পশ্চিম ভাঙনবাড়ি গ্রামে তৃণমূল সদস্যের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। আহত হন ৭ জন। 


সূত্রের দাবি:
ঘটনার দিন বোমা বাঁধছিলেন রতন প্রামাণিক। তিনি তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠ। ঘটনার আগে ও পরে প্রধানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের তথ্য মিলেছে। সেই রতন প্রামাণিককেই গ্রেফতার করেছে এনআইএ (NIA)।


তৃণমূলের দাবি:
তৃণমূলের দাবি, দলের কাউকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়নি। খেজুরির তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক পার্থপ্রতিম দাস বলেন,  'আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। লোকাল এরিয়ায় যাদেরকে ডাকা হয়েছিল তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।'


আরও পড়ুন: টাকার বান্ডিল ধরিয়ে হাসিল গায়ের গয়না, মহিলাদের বোকা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা