কলকাতা : ময়নার বিজেপি নেতা (Moyna BJP Leader) বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী। তিনি বলেন, "পুলিশ বলেছিল, এটা কি মামার বাড়ির আবদার নাকি ? যা খুশি তাই। যখন খুশি ডাকবে, তখন চলে যেতে হবে ! জিডি-অভিযোগ কিছুই নেয়নি। বারবার বলার পরেও খুঁজতে আসেনি পুলিশ।" যদিও গুলিতেই বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে আদালতে আজ জানিয়েছে রাজ্য। স্ত্রী ও ছেলের সামনেই বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ-খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া বাকচায় বিজেপির ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। 


এদিকে আজই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছেন, পরিবারের অনুমতি ছাড়াই গতকাল জোর করে ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষ দল গঠন করে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। রাজ্যের ২ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকতে পারবেন। চাইলে থাকতে পারবেন পরিবারের সদস্যরাও। জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবার ও ময়না থানাকে দেবে কমান্ড হাসপাতাল। তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ফেরত নিয়ে যেতে হবে। ৪ সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার। আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 


আরও পড়ুন ; 'সরকারি কর্মীদের ব্যবহার করছে পিসি' ট্যুইটে ফের মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর


খুনের পরেই গতকাল থেকে অগ্নিগর্ভ ময়নার বাকচা। আজ সকাল থেকে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বন্‍ধ চলে। শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে ১২ ঘণ্টার বন্‍ধ। সকাল থেকে বন্ধ ছিল দোকানপাট। বন্‍ধ সফল করতে রাস্তায় নামেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন্‍ধ ঘিরে বিজেপির পিকেটিং চলে। চেয়ার পেতে, বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে অবরোধ করা হয়। পুলিশের গাড়িকেও যেতে বাধা দেওয়া হয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বলাইপণ্ডা বাজারেও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জোর করে দোকানপাট বন্ধ করানো হয়।  ময়নার তিন মাথার মোড়ের কাছেও বনধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি বাধে। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। বিক্ষোভের পর বিডিও অফিসে যান ময়নার বিধায়ক। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসে যান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। কাজ বন্ধ রাখার আবেদন জানান তাঁরা। এদিকে বনধ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে আহত দশ বিজেপি কর্মী-সমর্থক।


আরও পড়ুন ; গরমের মরসুমে চুলের পাশাপাশি কীভাবে যত্ন নেবেন স্ক্যাল্পের? রইল কিছু সহজ টিপস