বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা রাজ্য। তাপপ্রবাহে (Heat Wave) রাস্তাঘাটে লোকজন নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Students) পরীক্ষার্তী এক ছাত্রী। সামান্য অসুস্থতা নয়, পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয় যে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। তীব্র দহনেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। 


পরীক্ষার হলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী


পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur News) তমলুকের (Tamluk News) ঘটনা। মঙ্গলবার সেখানে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার হলে বসেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পডে়ে সায়নিকা চক্রবর্তী নামের ওই পরীক্ষার্থী। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগে থেকেই স্কুলটিতে মেডিক্যাল টিম উপস্থিত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ওই পড়ুয়াকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে তারা। 


কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বরং ওই পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই সময় নষ্ট না করে, তড়িঘড়ি তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়া হয় মেয়েটিকে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলে বেশ খানিক ক্ষণ পর একটু সুস্থ বোধ করে মেয়েটি। তার পর হাতে স্যালাইনের সূচ নিয়ে হাসপাতালেই পরীক্ষা দিতে বসে সে। অসুস্থতার কারণে তাকে লেখা শেষ করার জন্য অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর করা হয় উচ্চমাধ্যমিক সংসদের তরফে। 


আরও পড়ুন: South Point School: গরমে পড়ুয়াদের রেহাই দিতে সাউথ পয়েন্টে ৩দিন বন্ধ অফলাইন ক্লাস ।Bangla News


এ দিন হাসপাতালে ওই পড়ুয়ার সঙ্গে ছিলেন স্কুলের এক শিক্ষিকা এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের এক জন ইনচার্জ। মেয়েটির পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছন তাঁরাও। হাসপাতালের শয্যা বেশ মেয়েটি পরীক্ষা দেওয়ার সময়, উপস্থিত ছিলেন তাঁরাও। 


তীব্র গরমে কয়েক দিন আগেই বৃষ্টি এবং কালবৈশাখীর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। কিন্তু তার পর এক সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও, কাঠফাটা রোদ এবং গরমের হাত থেকে স্বস্তির কোনও লক্ষণ নেই। বরং প্রতি নিয়ত তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। গত দু’দিন ধরে একনাগাড়ে ৪০-৪২ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রা। তাতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হিটস্ট্রোকও হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। 


হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ার


এমন পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। সেই মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত স্কুলে বিদ্যুৎ পরিষেবা, পানীয়জল, ঔষধ  এবং মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থা করা করা হয়। তার মধ্যেই এ দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী।