বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ। চোপড়াকাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্য়েই এবার এক মহিলা, এক নাবালিকা ও এক শিশুকে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। ভিক্ষার নাম করে চুরির সন্দেহে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পিছমোড়া করে বেঁধে ৩ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে উদ্ধার করে। বউবাজার, সল্টলেক, চোপড়া,পাণ্ডুয়া, জামবনি, তারকেশ্বর, ঝাড়গ্রাম-  পরপর গণপিটুনির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার চোর সন্দেহে গণপিটুনির ব্য়াধি ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকেও। 


সোমবার তমলুকের নিশ্চিন্তবসান গ্রামের বাসিন্দা দীপালি বেরার বাড়িতে ভিক্ষা করতে আসেন এক মহিলা ও এক নাবালিকা। তাদের সঙ্গে একটি শিশুও ছিল। দীপালি দেবীর দাবি, ভিক্ষার অছিলায় তাঁর বাড়িতে চুরি করতে এসেছিল তিন জন। তাঁর অভিযোগ, 'শুয়েছিলাম, হঠাৎ দেখি দু'জন মেয়ে, সঙ্গে একজন বাচ্চা মেয়ে। একজন ঘরে ঢুকে গেছে, একজন বাচ্চাকে নিয়ে শুয়ে ছিল। এবার আমার কোনও কারণে ঘুম এসে গেছিল। এবার ও ঢুকে আলমারি খুলে আমার গয়নার ব্য়াগ বের করে নিয়ে পালিয়ে আসছে। আমার ছেলে এ পাশ থেকে ঢুকছে। ঢুকতে একটা মেয়ে বলছে আমাকে ভিক্ষা দাও।) 


তিনি চিৎকার করলে পাড়া-প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। তিনজনকে ধরে ফেলেন তারা। মহিলার হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ব্য়াপক মারধর করা হয়। অভিযোগকারিণীর স্বামী কার্তিক বেরা বলেন, 'আমি তো বাড়িতে ছিলাম না। আমি আমার ডিউটিতে ছিলাম। আমাকে বাড়ি থেকে কল করল। আমি এলাম। এসে দেখলাম অনেক লোকজন। আমার আশেপাশে নাকি পরে শুনলাম যে হয়েছে এই ঘটনা। ওরা এই ভিক্ষা চাওয়ার বেশে এসে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে এইসব করে।' খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তিন জনকে উদ্ধার করে তমলুক থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য়ের নানা জায়গায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। বারবার একই ঘটনা ঘটলেও কেন কোনও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন।                     


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে লাঠিচার্জ সিভিকের! জানেন ঠিক কী এক্তিয়ার রয়েছে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের?